আক্রান্তদের মধ্যে সাংসদের স্ত্রী, তিন মেয়ে, এক নাতনি ও এক মেয়ের জামাই ছাড়াও তার এপিএস এবং তিন গৃহকর্মী রয়েছেন।
সাংসদের ব্যক্তিগত একান্ত সহকারী (এপিএস) একেএম মোস্তাফিজুর রহমান রাসেল সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, আক্রান্তরা চট্টগ্রাম শহরের নাসিরাবাদ রহমান নগর এলাকার বাসায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
‘গত ১ জুন সাংসদের শহরের বাসা থেকে পরিবারের মোট ১৬ জনের নমুনা নেয়া হয়। ২ জুন ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি থেকে পাঠানো রিপোর্টে সাংসদসহ মোট ১১ জনের করোনা পজেটিভ আসে,’ যোগ করেন রাসেল।
পরিবারের সবাই হোম আইসোলেশনে আছেন জানিয়ে রাসেল বলেন, ‘আল্লাহর রহমতে স্যার (সাংসদ) ভালো আছেন। পরিবারের সবাই ভালো আছে। আমরাও ভালো আছি। সিভিল সার্জন খোঁজখবর রাখছেন। পরিবারের সবাই সিভিল সার্জনের পরামর্শ মেনে চলছেন।’
চট্টগ্রামের সংসদ সদস্যদের মধ্যে মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলেন।
সূত্র জানায়, সাংসদ মোস্তাফিজুর গত ১৪ মে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে প্রধানমন্ত্রীর সাথে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এক সভায় যোগ দেন। এর আগে এপ্রিলের শেষের দিকে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসের একটি সভায় যোগ দিয়েছিলেন তিনি। এছাড়াও নিজ এলাকা বাঁশখালীতে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমে অংশ নিয়েছিলেন। ১৪ এপ্রিলের পর থেকে তিনি নিজ বাসায় অবস্থান করেন। ঈদের আগে বাঁশখালী গেলেও তিনি পুনরায় চট্টগ্রাম শহরের বাসায় ফিরে যান।
অন্যদিকে, ঈদের পর দিন সাংসদের স্ত্রীর ছোট বোন তার ছেলেকে নিয়ে সাংসদের শহরের বাসায় আসেন। এর দুই দিন আগে তার জ্বর আসে বলে পরিবার সূত্রে জানা যায়। সেখান থেকে সংক্রমণ হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করছেন সাংসদের পরিবারের সদস্যরা।