এ ঘটনায় পুলিশ অন্তত অর্ধ-শতাধিক নেতাকর্মীকে আটক করেছে। এছাড়া ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বুধবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের এফ রহমান হলে চবি ছাত্রলীগের শাটল ট্রেনের বগিভিত্তিক সংগঠন ‘সিক্সটি নাইন’ ও ‘বিজয়’ গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। যা চলে রাত সাড়ে ৩টা পর্যন্ত।
ক্যাম্পাস সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষা উপমন্ত্রী মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী বিজয় গ্রুপ ও সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারীদের সিক্সটি নাইন গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনায় ক্যাম্পাসে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়েছে। এর আগে বুধবার বিকালেও ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতেও চার জন আহত হয়।
আগের ঘটনার রেশ ধরে মধ্যরাতে এফ রহমান হলে বিজয় গ্রুপের ওপর আক্রমণ চালায় মেয়র নাছিরের অনুসারী গ্রুপ। এ সময় হলে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। হলের জানালা-দরজায় ও বৈদ্যুতিক বাতি ভেঙে ফেলা হয়। এক পর্যায়ে ৬টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। পরে বিজয় গ্রুপকে হটিয়ে এফ রহমান হল দখলে নেয় নাছির গ্রুপ।
রাতে এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এস এম মনিরুল হাসান বলেন, আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ ও প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা রয়েছেন।
হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বেলাল উদ্দিন জাহাঙ্গীর বলেন, বুধবার দিবাগত রাতে ছাত্রদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে। বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। ৫২ জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেয়া হয়েছে।