চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার নয়নপুর গ্রামে স্বামীকে বালিশচাপা দিয়ে হত্যার অভিযোগে স্ত্রীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়।
রবিবার বিকালে চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ বেগম ফারহানা ইয়াসমিন এই রায় দেন।
মামলায় সরকার পক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পিপি বদিউজ্জামান কিরণ বলেন, ‘মামলাটি আদালতে ছয় বছর চলমান থাকা অবস্থায় ২০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন। মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ ও নথিপত্র পর্যালোচনা করে আসামির উপস্থিতিতে বিচারক আজ এই রায় দেন।’
মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, ২০১৬ সালে ১৪ এপ্রিল স্বামী জামাল হোসেন (৪৪) সন্তানদের সামনে স্ত্রী ফাতেমা আক্তারকে (৩৪) মারধর করায় তিনি অসম্মানবোধ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে পরের দিন রাতে স্বামীকে ঘুমের ট্যাবলেট খাইয়িয়ে অচেতন করে বালিশচাপা দিয়ে হত্যা করেন তিনি।
পরবর্তীতে তার ছেলে জাহিদুল ইসলাম ফাহিমকে (১৫) সঙ্গে নিয়ে লাশটি বাড়ির পাশে একটি পুরনো গর্তে চাপা দিয়ে রাখেন। পরের দিন সকালে স্ত্রী ফাতেমা প্রচার করেন তার স্বামী চাকরির জন্য ঢাকায় গেছেন। তবে বিষয়টি জামাল হোসেনের পরিবারের সন্দেহ হলে বিভিন্ন স্থানে খোঁজ নিয়ে তার সন্ধান পাননি। পরবর্তীতে ফাতেমাকে দিয়ে ২৮ এপ্রিল শাহরাস্তি মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করান।
পুলিশ জামাল হোসেনের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে ফাতেমা ও তার ছেলেকে আদালতে পাঠান। গত ছয় বছর ধরে ফাতেমা চাঁদপুর জেলা কারাগারে এবং তার ছেলে জাহিদুল ইসলাম শিশু-কিশোর সংশোধনাগার থেকে এখন জামিনে আছেন। জাহিদুলের মামলাটি পৃথক আদালতে চলমান।
এ ঘটনায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তৎকালীন শাহরাস্তি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সমির মজুমদার ২০১৭ সালের ৩১ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে বিষাক্ত জেলিযুক্ত চিংড়ি জব্দ