চালের বৃদ্ধি পাওয়া চাহিদা পূরণে দুই বছরে এর উৎপাদন বাড়াতে সরকার রোডম্যাপ প্রণয়ন করছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, ‘এ বছর আউশ, আমন ও বোরো ধানের রেকর্ড উৎপাদন হয়েছে। সরকারি মজুদও সর্বোচ্চ। এরপরও চালের দাম নিয়ন্ত্রণের বাইরে।’
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ধানের উৎপাদন বাড়াতে অতি উচ্চফলনশীল ইনব্রিড ও সুপার হাইব্রিড জাতের আবাদ বৃদ্ধি সংক্রান্ত সভা শেষে সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলেন কৃষিমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: বিশ্বমানের প্যাকিং হাউজ ও ল্যাব স্থাপনে কাজ চলছে: কৃষিমন্ত্রী
তিনি বলেন, চালের মূল্য নিম্ন আয়ের মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতে দ্রুত উচ্চ ফলনশীল ইনব্রিড ও সুপার হাইব্রিড জাতের চাষ করে উৎপাদন ত্বরান্বিত করতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, কৃষি জমি হ্রাস পাচ্ছে। উৎপাদন বাড়াতে নতুন উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল জাতগুলোকে অবিলম্বে মাঠে নিয়ে যেতে হবে।
তিনি বলেন, সরকার আগামী মৌসুমে আউশ, আমন ও বোরো ধানের উৎপাদন বাড়াতে এবং পাহাড়, হাওর ও প্রতিকূল এলাকায় উৎপাদন সম্প্রসারণের জন্য সময়-নির্দিষ্ট পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
আরও পড়ুন: কৃষিতে আজীবন সম্মাননা পেলেন কৃষিমন্ত্রী
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরকে চালের চাহিদা, উৎপাদন ও উৎপাদনশীলতার বিষয়ে আরও নির্ভরযোগ্য পরিসংখ্যান তৈরি করার আহ্বান জানান কৃষিমন্ত্রী।
আন্তর্জাতিক বাজারে খাদ্যপণ্যের দাম অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশে সম্প্রতি চালের দাম কিছুটা অস্থিতিশীল ও ঊর্ধ্বমুখী বলেও জানান তিনি।