যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদরদপ্তরে ‘ক্লাইমেট অ্যাকশন’ বিষয়ক উচ্চ পর্যায়ের এক গোলটেবিল বৈঠকে ভিডিওবার্তায় এ প্রস্তাব দেন তিনি।
জাতিসংঘের ৭৫তম সাধারণ অধিবেশনের সাইডলাইনের ওই গোলটেবিল বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এ পৃথিবী এবং নিজেদের সুরক্ষার জন্য আমার পরামর্শ- রাজনৈতিক নেতৃত্বকে অবশ্যই আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য উৎসাহিত করতে হবে, বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে এবং প্যারিস চুক্তির সবগুলো অনুচ্ছেদের বাস্তবায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে প্রতিশ্রুত তহবিল সরবরাহ করতে হবে।’
আগে রেকর্ড করা ভিডিও বার্তায় অন্য দুটি প্রস্তাব রেখে তিনি বলেন, ‘দূষণকারী দেশগুলোকে অবশ্যই প্রশমনমূলক পদক্ষেপের মাধ্যমে জাতীয় নির্ধারিত অবদান (এনডিসি) বৃদ্ধি করতে হবে এবং জলবায়ু উদ্বাস্তুদের পুনবার্সন বৈশ্বিক দায়িত্ব- এ স্বীকৃতি দিতে হবে।’
অভিযোজন এবং স্থিতিস্থাপকতার বিষয়ে বাংলাদেশের কিছু ধারণা ও অভিজ্ঞতা রয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা এবং পানি ব্যবস্থাপনার জন্য ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ প্রণয়ন করেছে বাংলাদেশ।’
দুর্যোগ থেকে মানুষকে রক্ষায় চার হাজার ২৯১টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র ও ৫২৩টি বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ এবং ৫৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবক তৈরির কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
‘এ জন্য আমরা ‘আরইএপি’ উদ্যোগে যোগ দিয়েছি, ২০২৫ সালের মধ্যে বিশ্বজুড়ে ১০০ কোটি মানুষকে দুর্যোগ থেকে রক্ষা করাই যার লক্ষ্য,’ বলেন প্রধানমন্ত্রী।
বাংলাদেশ সিভিএফের বর্তমান চেয়ারম্যান উল্লেখ করে শেখ হাসিনা সম্প্রতি ঢাকায় গ্লোবাল সেন্টার অব অ্যাডাপ্টেশনের আঞ্চলিক অফিস প্রতিষ্ঠা করার কথা জানান।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করায় জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
গোলটেবিল বৈঠকটি আহ্বান করেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস এবং এটি পরিচালনা করেন আন্তর্জাতিক সাংবাদিক ও টেলিভিশন উপস্থাপিকা ফেমি ওকে।