জাতিসংঘে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর চিঠির প্রেক্ষিতে শান্তি মিশনে বাংলাদেশিদের যোগদানে কোনো প্রভাব পড়বে না বলে আশা প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, জাতিসংঘ সবসময়ই যাচাই-বাছাই করে কর্মী নেয়। দীর্ঘদিন ধরে তারা বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিচ্ছে। তাই, আমরা এ নিয়ে তেমন চিন্তিত নই।
মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের ২১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে জাতিসংঘের আন্ডার-সেক্রেটারি-জেনারেল ফর পিস অপারেশনস জিন-পিয়েরে ল্যাক্রোইক্সের কাছে ১২টি মানবাধিকার সংস্থার পাঠানো চিঠির বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
মোমেন বলেন, দেশের বিভিন্ন সংগঠন, বিদেশে তাদের বন্ধুরা এবং তাদের লবিস্টরা দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। সেই অপপ্রচারের ভিত্তিতে গত বছরের নভেম্বরে ১২টি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা জাতিসংঘে চিঠি দেয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘ চিঠি পেয়েছে। তারা স্বীকার করেছে যে তারা চিঠি পেয়েছে। তবে এই চিঠির ভিত্তিতে জাতিসংঘ কিছু করেনি।
তিনি বলেন, একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা মানেই সবসময় যে একটি ভাল সংস্থা হতে পারে, তা ঠিক না। যে সংস্থাগুলো এখন র্যাবের বিরুদ্ধে কথা বলছে, তাদের মধ্যে একটি এর আগে বলেছিল যে ইরাকে গণবিধ্বংসী অস্ত্র রয়েছে। এর ওপর ভিত্তি করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সত্যিই ভেবেছিল ইরাকে গণবিধ্বংসী অস্ত্র রয়েছে। বাকিটা আপনাদের জানা আছে।
ড. মোমেন বলেন, ইরাকে একটিও গণবিধ্বংসী অস্ত্র পাওয়া যায়নি। তাই আমি মার্কিন সরকারকে বলতে চাই, অতীতের কথা স্মরণ করতে। কীভাবে একটি বড় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা তাদের বিপথগামী করেছিল।
এ জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তখন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী কলিন পাওয়েলকে বলতে হয়েছিল, আমি দুঃখিত। এটা আমাদের নেয়া দুর্ভাগ্যজনক সিদ্ধান্ত।
মোমেন বলেন, দেশের সবাই জানে র্যাব সততা ও অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে কাজ করছে এবং তারা ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করেছে।
তিনি বলেন, অবশ্যই আইনের কোনো বিচ্যুতি হলে সরকার ব্যবস্থা নেবে এবং কয়েকটি মামলায় ইতোমধ্যে শাস্তিও হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ আপনারা সবাই নারায়ণগঞ্জের ঘটনা জানেন।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র র্যাবকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী