চট্টগ্রামের নির্মাণাধীন পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল (পিসিটি) চলতি বছরের জুনে চালু হবে এবং টার্মিনালটি চালু হলে বছরে ১৪৫ মিলিয়ন টিইইউএস কনটেইনার হ্যান্ডলিং করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম শাহজাহান। তিনি বলেন, করোনা মহামারির সংকটময় সময়ের মধ্যেও চট্টগ্রাম বন্দর শতভাগ কাজ চালিয়ে গেছে। আমাদের অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারী করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। তারপরও নানা প্রতিকূলতার মধ্যে শতভাগ কাজ চালিয়ে যেতে বন্দর বদ্ধ পরিকর।
রবিবার দুপুরে চট্টগ্রাম বন্দর ভবনের সম্মেলন কক্ষে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত, ইতালির রাষ্ট্রদূত ও বিজিএমইএ নেতাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বন্দরে কোকেন জব্দ: মামলার চার্জ গঠন ১০ নভেম্বর
এডমিরাল এম শাহজাহান বলেন, বর্তমানে বন্দরে ৫০ হাজার টিইইউএস কনটেইনার রাখার ধারণক্ষমতা আছে। তবে এখন ৩৯ হাজার টিইইউএস কনটেইনার রয়েছে। অর্থাৎ বন্দরে এখন কোন কনটেইনার জট নেই।
বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, বে-টার্মিনাল ও পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল চালু হলে বন্দরের কনটেইনার রাখার ধারণক্ষমতার পাশাপাশি কাজের সক্ষমতা আরও বাড়বে।
সভায় ইতালির রাষ্ট্রদূত এইচ ই এনরিকো নানজিয়াটা বলেন, বাংলাদেশে ব্যবসা-বাণিজ্যের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। ইউরোপে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের জনপ্রিয়তা রয়েছে। চট্টগ্রাম-ইতালি রুটে জাহাজ চালু হয়েছে, এটা দু’দেশেরই বাণিজ্যিক প্রসারতার বড় সুযোগ। আমি মনে করি বাণিজ্যের পাশাপাশি দু’দেশের সুসম্পর্ক আরও জোরদার হবে।
আরও পড়ুন: ১৫ কোটি টাকার কোকেনসহ চট্টগ্রামে যুবক আটক
বাংলাদেশ ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত এইচ ই চার্লস স্টুয়ার্ড হুইটলে বলেন, প্রথমবারের মত চট্টগ্রাম-ইতালি রুটে পোশাক পণ্য নিয়ে জাহাজ চলাচল করবে, এর মাধ্যমে একটি সুষ্ঠু বাণিজ্যিক পরিবেশ তৈরি হবে বলে আমি মনে করি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের পোশাক খাতের প্রশংসা রয়েছে। করোনার কারণে আমরা সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি, পোশাক খাতে আমদানি ও রপ্তানিকারক সকলেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অর্থনীতির উন্নয়নে বাংলাদেশ সরকার অনেকগুলো মেগাপ্রকল্প হাতে নিয়েছেন।
বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, পোশাক খাতের অগ্রগতিতে বিজিএমইএ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। কাজের মান, নকশাসহ বিভিন্ন কারণে আমাদের তৈরি পোশাকের চাহিদা রয়েছে। এটি ধরে রাখতেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। দেশিয় জিডিপি বৃদ্ধিতে গার্মেন্টস সেক্টর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
আরও পড়ুন: পণ্য পরিবহন ধর্মঘট: চট্টগ্রাম বন্দরে অচলাবস্থা
সভায় উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএর প্রতিনিধিদলে প্রথম সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, সহ-সভাপতি শহিদউল্লাহ আজিম, সহ-সভাপতি (অর্থ) খন্দকার রফিকুল ইসলাম, সহ-সভাপতি মো. নাসির উদ্দিন, সহ-সভাপতি রাকিবুল আলম চৌধুরী, পরিচালক মো. এম. মহিউদ্দিন চৌধুরী, এএম শফিউল করিম (খোকন), মো. হাসান (জ্যাকি), এম এহসানুল হক ও মোহাম্মদ মিরাজ-ই-মোস্তফা (কায়সার)।
এছাড়াও আমন্ত্রিত অতিথি, বন্দরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।