সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪ জন শিক্ষার্থীর চুলকেটে দেয়ার আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর ঘটনায় অভিযুক্ত সেই প্রভাষক ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনকে অপসারণের দাবিতে বৃহস্পতিবারও আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে শিক্ষার্থীরা।
বিক্ষোভকারীরা দাবি করেছেন যে,সমবয়সীদের অবমাননার জন্য বিতর্কিত শিক্ষক ফারজানা ইয়াসমিন বাতেনকে তাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হোক। যদিও তিনি সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান, সহকারী প্রক্টর এবং প্রক্টরিয়াল বোর্ডের সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন।
আরও পড়ুন: রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের চুল কেটে দেয়া সেই শিক্ষিকার পদত্যাগ, তদন্ত কমিটি গঠন
বৃহস্পতিবার তাদের প্রতিবাদের দ্বিতীয় দিনে অসুস্থ হয়ে পড়েন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং বাংলাদেশ স্টাডি বিভাগের হাবিব, জাহিদ, সীরাত ও জাকারিয়া নামে চারজন শিক্ষার্থী।
তাদের মধ্যে হাবিবকে সাজাদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয় এবং বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দিনের মতো ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য, রেজিস্ট্রার এবং অন্যান্য শিক্ষকদের একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবনে আটকে রাখে।
ছাত্রনেতা শামীম হোসেন,আবু জাফর হোসেন এবং নাজমুল হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, ফারহানা ইয়াসমিনকে স্থায়ীভাবে অপসারণ না করা পর্যন্ত তারা তাদের আন্দোলন চালিয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল খুলছে ১৮ অক্টোবর
বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ ও বর্তমানে উপাচার্যের দায়িত্বে থাকা আবদুল লতিফ জানান, শিক্ষক ফারজানা ইয়াসমিনের বিষয়ে বৃহস্পতিবার রাতে একটি সিন্ডিকেট বৈঠক ডাকা হয়েছে।
এর আগে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ঘটনা তদন্তের জন্য পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে বলে জানান আবদুল লতিফ।
বিভাগের কিছু শিক্ষার্থী জানান,ফারহানা বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের চুল কাটতে বলে।১৪ জন ছাত্র ছাড়া বাকি সবাই তার নির্দেশ মেনে চলে।
এই ঘটনার প্রতিবাদ করে শিক্ষার্থীরা সোমবার অনুষ্ঠিত পরীক্ষা বর্জন করে।
আরও পড়ুন: বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের হল খুলছে ৪ অক্টোবর
এদিকে, ঘটনার শিকার নাজমুল হাসান তুহিন আত্মহত্যার চেষ্টায় ঘুমের ওষুধ খেয়েছিলেন বলে তার বন্ধুরা জানিয়েছেন।বর্তমানে তিনি এনায়েতপুর খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।