মুজিববর্ষে যমজ শিশু দুটির বাড়ি ফেরা উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সিএমএইচ এ এই অনুষ্ঠানে তিনি তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
আরও পড়ুন:বিমানের উড়জাহাজের যত্ন নিন, যাত্রীসেবার মান বাড়ান: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘আজ রাবেয়া ও রোকেয়া তাদের বাড়িতে ফিরে যাচ্ছে, তারা বাবা মার কোলে হেসে-খেলে বেড়াবে, এটা সত্যিই খুব বড় পাওয়া।’
শেখ হাসিনা বলেন, মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের সময় এই সফল অস্ত্রোপচার বাংলাদেশের জন্য সত্যিই একটি বিরাট অর্জন।
জোড়া লাগানো শিশুদের আলাদা করার প্রক্রিয়াতে মোট ৪৮টি অস্ত্রোপচার পরিচালিত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটি একটি বিরল অস্ত্রোপচার এবং বাংলাদেশের জন্য নতুন অভিজ্ঞতা।
আরও পড়ুন: সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
২০১৯ সালের ১ আগস্ট বাংলাদেশ থেকে ১০০ জন এবং হাঙ্গেরির ৩৪ জন চিকিত্সকের যৌথভাবে অংশগ্রহণে ৩৩ ঘণ্টার জটিল অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তাদের পৃথক করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার ছোট বোন শেখ রেহানা একটি সংবাদপত্রে যমজ বাচ্চাদের খবর দেখে তাকে জানানোর পরে তিনি এই মাথা জোড়া লাগানো বাচ্চাদের আলাদা করার উদ্যোগ নেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আজকে সত্যিই খুব আনন্দিত এবং সত্যিই অন্য রকম অনুভূতি আমার জন্য। এই মার্চ মাস এবং মুজিববর্ষে তাদের সফলভাবে বাড়ি ফেরা সবার জন্য আনন্দের বিষয়।’
প্রধানমন্ত্রী পাঁচ বছর বয়সী জোড়া লাগানো বাচ্চাদের সাথেও কথা বলেছেন এবং তারা তাকে ‘আসসালামু আলাইকুম’ বলে অভিবাদন জানায়।
আরও পড়ুন: সব উপজেলায় কমিউনিটি ভিশন সেন্টার স্থাপন করা হবে: প্রধানমন্ত্রী
এই জোড়া লাগানো যমজদের আলাদা করতে আন্তরিকতার সাথে কাজ করে অস্ত্রোপচারে নিযুক্ত থাকা দেশের চিকিৎসকদের, হাঙ্গেরিয়ান চিকিৎসকদের, অন্যান্য সকল ব্যক্তি এবং ইনস্টিটিউটের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ জানান তিনি। তিনি বলেন, ‘আপনারা একেবারে মানবিক একটি কাজ করেছেন… আপনারা এটি সাহসের সাথে করেছেন এবং সাফল্য পেয়েছেন।’
সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ, শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক সামন্ত লাল সেন অন্যান্যদের মধ্যে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
২০১৬ সালের ১৬ জুলাই এই জোড়া মাথার যমজ শিশু দুটি পাবনায় জন্মগ্রহণ করে। তাদের বাবা-মা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক তসলিমা খাতুন ও রফিকুল ইসলাম।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী এই জোড়া লাগানো যমজ শিশুরা তাদের জন্মের পরপরই দেশে এবং বিদেশে চিকিত্সা পেয়েছে।