সোমবার গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের জনসংযোগ কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন ইউএনবিকে ডা. জাফরুল্লাহর শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে এ তথ্য জানান।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে ব্রিগেডিয়ার অধ্যাপক ডা. মামুন মুস্তাফিজ ও অধ্যাপক ডা. নজীবের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ডা. জাফরুল্লাহকে সুস্থ হয়ে ওঠার জন্য তাকে পর্যাপ্ত অক্সিজেন ও অ্যান্টিবায়োটিক দেয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, জাফরুল্লাহকে নিয়মিত ডায়ালাইসিস ও বুকের ফিজিওথেরাপিও দেয়া হয়েছে।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের জনসংযোগ কর্মকর্তা জানান, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা এখন নিজে নিজেই খেতে পারছেন। তার ব্লাড প্রেসার ও অন্যান্য স্বাস্থ্যগত অবস্থা এখন স্থিতিশীল আছে।
গত বৃহস্পতিবার রাতে হঠাৎ শ্বাসকষ্ট হওয়ায় জাফরুল্লাহর অবস্থার কিছুটা অবনতি হয়।
তারপর থেকে রাজধানীর ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে ব্রিগেডিয়ার অধ্যাপক ডা. মামুন মুস্তাফিজ ও অধ্যাপক ডা. নজীবের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন আছেন তিনি।
মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ ২৫ মে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ল্যাবরেটরিতে উদ্ভাবিত র্যাপিড ডট ব্লট কিট দিয়ে পরীক্ষা করে আক্রান্তের ব্যাপারে জেনেছেন।
তার চারদিন পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) একটি আরটি-পিসিআর পরীক্ষাতেও তার করোনভাইরাস শনাক্ত হয়।
এরআগে, মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ডা. জাফরুল্লাহ তার রোগ প্রতিরোধের সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য তিনবার প্লাজমা থেরাপি নিয়েছেন।