সোমবার তেজগাঁও থানার পরিদর্শক এবং মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হাসনাত খন্দকার চার দিনের রিমান্ড চেয়ে ডা. সাবরিনাকে আদালতে হাজির করার পর ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিনুর রহমান তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে রবিবার করোনা পরীক্ষার সাটিফিকেট জালিয়াতির সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ডা. সাবরিনাকে রাজধানীর শেরে-বাংলা-নগর থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রবিবার দুপুর ১টার দিকে ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের কার্যালয়ে ডেকে নেয়া হয় জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটের এ চিকিৎসককে।
তদন্তকারীদের জিজ্ঞাসাবাদে তার কাছ থেকে সন্তোষজনক উত্তর না পাওয়ায় গত ২৩ জুন তেজগাঁও থানায় দায়ের করা মামলায় ডা. সাবরিনাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয় বলে জানান তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার হারুন অর রশিদ।
আরও পড়ুন: করোনার ভুয়া সাটিফিকেট প্রদান: ডা. সাবরিনা গ্রেপ্তার
জেকেজি হেলথ কেয়ারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং ডা. সাবরিনার স্বামী আরিফুল চৌধুরীসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে জাল কোভিড-১৯ পরীক্ষার রিপোর্ট তৈরির অভিযোগে তেজগাঁও থানায় এ মামলাটি দায়ের করা হয়েছিল।
ওই মামলায় ডা. সাবরিনার স্বামী আরিফুল চৌধুরী, হুমায়ুন কবির ও তার স্ত্রী তানজিনা পাটোয়ারীসহ গুলশানের কনফিডেন্স টাওয়ারের জেকেজি হেলথ কেয়ারের অফিস থেকে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ডা. সাবরিনা জেকেজির চেয়ারম্যান হওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করলেও সংগ্রহ করা নমুনার কোনো পরীক্ষা না করেই হাজার হাজার ভুয়া কোভিড-১৯ সার্টিফিকেট সরবরাহ করার এ ন্যক্কারজনক কাজের সাথে তার জড়িত থাকার বিষয়ে পুলিশের কাছে বিস্তারিত স্বীকার করেন তার স্বামী আরিফুল।
পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, জেকেজির প্রতারণার জন্য ডা. সাবরিনার দায়িত্ব এড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। কারণ জিজ্ঞাসাবাদে তার স্বামী আরিফুল প্রতিষ্ঠানটির সাথে এ চিকিৎসকের সম্পৃক্ততার বিষয়টি স্বীকার করেছেন।