বৃহস্পতিবার ১২টি ছাত্র সংগঠনের নেতা-কর্মীরা রাজু ভাস্কর্যের সামনে জড়ো হয়ে উপাচার্যের কার্যালয়ে যান।
উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান কার্যালয়ে উপস্থিত না থাকায়, স্মারকলিপি গ্রহণ করেন সহকারী প্রক্টর বদরুজ্জামান ভূঁইয়া।
এসময় ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর ও তার সহযোগীদের ওপর হমালার ঘটনায় দ্রুত বিচার এবং হামলায় জড়িতদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার, ঢাবি প্রক্টরের পদত্যাগ, নুর ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিতকরণসহ চার দফা দাবি জানায় ১২টি ছাত্র সংগঠনের নেতারা।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে সন্ত্রাস এবং নিপীড়ন দূর করার লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার প্রতিশ্রুতি জানায় বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ (বিজিএসআরপিসি), ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র ফেডারেশন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টসহ অন্যান্য দলের সমন্বয়ে গঠিত সন্ত্রাসবিরোধী ছাত্র ঐক্য।
ডাকসুর সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক আক্তার হোসেন বলেন, ‘ক্ষমতাসীন দল সমর্থিত ছাত্রলীগ ধারাবাহিক সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ভয়ের সংস্কৃতি চালু করেছে। সম্প্রতি তারা ডাকসু ভিপি এবং অন্যদের ওপর নির্মম হামলা চালিয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ লুকিয়ে রেখে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও হামলাকারীদের পক্ষে কাজ করছে।’
আক্তার আরো বলেন, ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ প্রতিনিয়ত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালানোয় এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলো এখন রাজনৈতিক বন্দিশিবিরে পরিণত হয়েছে।’
ক্যাম্পাসের অগণতান্ত্রিক পরিবেশকে উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে বাধা হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ডাকসু ভিপি এবং হামলার শিকার অন্যদের বাঁচাতে কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে ঢাকা বিশ্বব্যিালয়ের প্রক্টর হামলাকারীদের পক্ষে কথা বলেছেন। এজন্য আমরা প্রক্টরের পদত্যাগ চাই।’
এসময় অন্যান্যদের পাশাপাশি বিজিএসআরপিসি’র যুগ্ম আহ্বায়ক বেনিয়ামিন মোল্লা, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি গোলাম মোস্তফা এবং বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি ফাহাদ উপস্থিত ছিলেন।