ঈদুল আজহা পরবর্তী বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ঈদের দিন সোমবার বিকাল ৫টা থেকে রাত ১০টার মধ্যে ৭, ১১, ৩, ৩১ ও ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা তাদের নিজ এলাকাকে বর্জ্যমুক্ত ঘোষণা করেন। পরে ক্রমান্বয়ে অন্যান্য ওয়ার্ডকেও বর্জ্যমুক্ত ঘোষণা করা হয়।
বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন (এসটিএস) ও নির্ধারিত স্থানে কন্টেইনারে জমা করা বর্জ্য ভাগাড়ে পরিবহন করে মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টার মধ্যে পুরো ডিএনসিসি এলাকা কোরবানির বর্জ্যমুক্ত হয় বলেও জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনের সময় পর্যন্ত হিসাব অনুযায়ী দুই হাজার ৪৪৯টি ট্রিপে ১৩ হাজার ২৩৪ টন বর্জ্য ভাগাড়ে পরিবহন করা হয় বলে উল্লেখ করেন আতিকুল ইসলাম। তিনি বর্জ্য অপসারণে নিয়োজিত সব কর্মকর্তা, কর্মচারী ও পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের আন্তরিক অভিনন্দন জানান।
বিগত বছরগুলোর তুলনায় এবার নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানিতে জনগণের সাড়া উৎসাহব্যঞ্জক ছিল উল্লেখ করে মেয়র বলেন, ডিএনসিসির আওতাধীন এলাকায় প্রথম দিনে আনুমানিক আড়াই লাখের অধিক পশু কোরবানি হয়েছে। ডিএনসিসি ২৭৩টি কোরবানির স্থান নির্ধারণ করেছিল। এসব নির্ধারিত স্থানসহ সরকারি এবং ব্যক্তিমালিকানাধীন আবাসিক কমপ্লেক্সের ভেতরে উপযুক্ত স্থানে কোরবানি করা হয়েছে।
‘বিগত বছরগুলোর তুলনায় এ বছর নির্ধারিত স্থানে পশু জবাইয়ে জনগণের সাড়া ছিল উৎসাহব্যঞ্জক। তা গত বছরের তুলনায় কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সুবিধা বিশেষ করে কোরবানির মাংস বাসায় পৌঁছে দেয়ার কারণে আগের তুলনায় অনেকে উৎসাহিত হয়ে নির্দিষ্ট স্থানে কোরবানি দিয়েছেন,’ বলেন মেয়র।
রাস্তার ওপর পশু কোরবানি না দেয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আগামীবার থেকে যত্রতত্র কোরবানি করা রোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধি, উদ্ভাবনী প্রচারাভিযান চালানো ও প্রয়োজনে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়া, বর্জ্য রাখার জন্য পচনশীল ব্যাগ ব্যবহার, কোরবানির স্থান বৃদ্ধি ও বর্জ্যকে সম্পদে রূপান্তরের উদ্যোগ নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল হাই, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন মঞ্জুর হোসেন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোমিনুর রহমান মামুন, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাঈদ আহমেদ, সচিব রবীন্দ্রশ্রী বড়ুয়া, ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাকির হোসেন বাবুল, মোবাশ্বের চৌধুরী প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।