একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ফায়াজ মঙ্গলবার ঢাকা কলেজ থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন। তিনি দু-এক দিনের মধ্যে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে ভর্তি হবেন।
ঢাকা কলেজের উপাধ্যক্ষ কে টি এম মাইনুল হোসেন বলেন, ফায়াজ কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে পড়তে চায়। এক দিনের মধ্যে তার আবেদন গ্রহণ এবং ছাড়পত্র মঞ্জুর করা হয়েছে।
আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ জানান, তারা ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষের সাথে দেখা করে ফায়াজের ছাড়পত্র নিয়েছেন। কুষ্টিয়ায় ফিরে তাকে ভর্তি করা হবে।
কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ কাজী মনজুর কাদির বলেন, ‘কলেজের বিজ্ঞান বিভাগে আসন শূন্য রয়েছে। এছাড়া, কুষ্টিয়া-৩ আসনের সাংসদ মাহবুব উল আলম হানিফ ও জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেনের মাধ্যমে জানা গেছে যে বিষয়টি সরাসরি প্রধানমন্ত্রী দেখছেন। এটি নিয়ে যশোর বোর্ডের চেয়ারম্যানের সাথেও কথা হয়েছে। আসা মাত্রই তাকে (ফায়াজ) ভর্তি করানো হবে। এটা খুবই স্পর্শকাতর। তাই বিষয়টিকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।’
কয়েক দিন আগে ফায়াজ নিরাপত্তার অভাবজনিত কারণে আর ঢাকায় পড়ালেখা করতে চান না বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন।
মঙ্গলবার তিনি বলেন, ‘ঢাকাতে ভাইয়া (আবরার ফাহাদ) আমার অভিভাবক ছিল, আমার সব কিছু দেখাশোনা করত। ভাইয়া আমার ভরসার জায়গা ছিল। ভাইয়াই যখন নেই তখন আর ঢাকায় পড়াশোনা করে কী হবে? আর তাছাড়া আমার পরিবারের কেউই চাচ্ছে না যে আমি আর ঢাকায় থাকি। যে কারণে আমি ঢাকা কলেজ থেকে ছাড়পত্র নিয়ে দু-এক দিনের মধ্যেই কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে একাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হচ্ছি।’
বুয়েটের ইলেকট্রিকাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে (২১) ৬ অক্টোবর রাতে শের-ই-বাংলা হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেন ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা-কর্মী। এ ঘটনায় আবরারের বাবা বরকতউল্লাহ ১৯ জনকে অভিযুক্ত করে ৭ অক্টোবর সন্ধ্যায় চকবাজার থানায় মামলা করেন। পুলিশ মামলার এজাহারভুক্ত ১৬ আসামিসহ এ পর্যন্ত ২০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।