প্রস্তাবিত খসড়া চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকগুলো দ্রুত স্বাক্ষরের জন্য উজবেকিস্তানকে অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ।
সোমবার উজবেকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত দুই দেশের মধ্যে ফরেন অফিস কনসালটেশন (এফওসি) বৈঠকে এ অনুরোধ জানানো হয়।
উভয় পক্ষ ঢাকা ও তাসখন্দের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট চালু, দ্বৈত কর পরিহার, অফিসিয়াল ও কূটনৈতিক পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা মওকুফ চুক্তি, কারিগরি ও শিক্ষা ক্ষেত্রে সফর বিনিময় নিয়েও আলোচনা করেন।
বাংলাদেশের পক্ষের নেতৃত্বে ছিলেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং উজবেক পক্ষের নেতৃত্বে ছিলেন উজবেকিস্তানের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফুরকাত আহমেদোভিচ সিদিকভ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে এলএনজি সরবরাহ অব্যাহত রাখবে কাতার: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
বাংলাদেশ উজবেকিস্তানে বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের জন্য ভালো বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টির জন্য দেশটির প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
উজবেকিস্তানে ব্যবসা ও শিল্পবান্ধব পরিস্থিতি তৈরি হলে বাংলাদেশের বিনিয়োগকারীরা উজবেকিস্তানে তাদের বিনিয়োগ পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে আসতে পারে বলে এফওসিতে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
উজবেকিস্তানের প্রাকৃতিক গ্যাস শিল্পের ক্ষেত্রে বিনিয়োগের জন্য দারুণ সহায়ক হতে পারে।
এসময় পররাষ্ট্র সচিব তাঁর প্রতিপক্ষকে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় উজবেকিস্তানের দূতাবাস স্থাপনের বিষয়েও অনুরোধ করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে আরও জোরালো অংশীদারিত্ব চায় সুইজারল্যান্ড
বৈঠক শেষে বাংলাদেশ ও উজবেকিস্তানের মধ্যে ২০২২-২০২৩ বছরের ‘প্রোগ্রাম অব কোঅপারেশন’ স্বাক্ষরিত হয়। বাংলাদেশের পক্ষে পররাষ্ট্র সচিব ও উজবেকিস্তানের পক্ষে উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী এতে স্বাক্ষর করেন।
বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন উজবেকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. জাহাঙ্গীর আলম, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পূর্ব ইউরোপ ও সিআইএস অনুবিভাগের মহাপরিচালক শিকদার বদিরুজ্জামান, দূতাবাসের মিনিস্টার নৃপেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথ ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক মোহাম্মদ যোবায়েদ হোসেন প্রমূখ।
উভয় পক্ষের সম্মতিতে পরবর্তী ফরেন অফিস কনসালটেশন এর বৈঠক ২০২৩ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।