থাই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি পার্মানেন্ট সেক্রেটারি এইচ ই সারুন চারোয়েনসুওয়ান বলেছেন, বাংলাদেশের টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়ন মডেল এবং থাইল্যান্ডের বায়ো-সার্কুলার-গ্রিন ইকোনমি মডেলের অধীনে দেশগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদার করার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।
শুক্রবার বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের কূটনৈতিক সম্পর্কের সূবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষ্যে থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির সম্ভাবনা শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
সারুন তার বক্তব্যে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত সেমিনারটিতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি পার্মানেন্ট সেক্রেটারি এইচ ই সারুন চারোয়েনসুওয়ান এবং শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ব্যাংককস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের চার্জ ডিঅ্যাফেয়ার্স মিজ মালেকা পারভীন।
আরও পড়ুন: ‘জলবায়ু পরিবর্তনের বোঝা বাংলাদেশকে একা বহন করতে হবে না’
মিজ মালেকা পারভীন তার বক্তব্যের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, থাইল্যান্ড দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যতম দেশ, যারা স্বাধীনতার অব্যবহিত পরে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করেন।
তিনি দুই দেশের ব্যবসায়ীদেরর মধ্যে আরও বেশি যোগাযোগ স্থাপনের গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, এই সেমিনারের মাধ্যমে দুই দেশের ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীদের উভয় দেশের সরকারের আলোচিত সেক্টর ভিত্তিক সুবিধা ও সম্ভাবনা সম্পর্কে আরও নিবিড়ভাবে জানার সুযোগ সৃষ্টি হবে।
চারটি সেশনে অনুষ্ঠিত সেমিনারটিতে দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক, বাংলাদেশে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সুযোগ ও সম্ভাবনা এবং বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের বাণিজ্যিক সম্পর্কের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা বিষয়ে বক্তারা আলোকপাত করেন।
অনুষ্ঠানে চুলালংকর্ণ বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মি. পিতি শ্রীসঙ্গম, বিনিয়োগ বোর্ড, টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিজ, থাই হালাল খাবার উৎপাদক ও রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশন-এর প্রতিনিধিসহ থাই সরকারি বেসরকারি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।
থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এর আমন্ত্রণে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এর পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ উন্নয়ন অনুবিভাগ এর পরিচালক জনাব মো. আরিফুল হক ভার্চুয়াল মাধ্যমে সংযুক্ত হন।
তিনি থাইল্যান্ডের বিনিয়োগকারীদের জন্য বাংলাদেশে বিনিয়োগের সুযোগ, সম্ভাবনা, বিনিয়োগ প্রণোদনা, বিনিয়োগকারী ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসমূহের জন্য বাংলাদেশের বিনিয়োগের ক্ষেত্র সমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
অনুষ্ঠানে থাই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, দূতাবাসের কর্মকর্তারা, অন্যান্য সংশ্লিষ্ট থাই সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা, ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং ব্যাংকক ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।