সোমবার দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদের নেতৃত্বে সংস্থার একটি প্রতিনিধিদল বঙ্গভবনে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় যথাযথ তদন্ত চালানো খুব গুরুত্বপূর্ণ কাজ। দুদককে তদন্ত কর্মকর্তাদের দক্ষতা ও সক্ষমতা বাড়াতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।’
এ সময় দুদক প্রতিনিধিদল রাষ্ট্রপতির কাছে সংস্থার ২০১৮ সালের বার্ষিক প্রতিবেদন তুলে দেন।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন ইউএনবিকে বলেন, সাক্ষাৎকালে দুদক চেয়ারম্যান প্রতিবেদনের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন। সেই সাথে তাকে দুর্নীতি প্রতিরোধে নানা কার্যক্রম প্রসঙ্গে জানানো হয়।
কমিশনের কার্যক্রম পরিচালনায় রাষ্ট্রপতির সহযোগিতা কামনা করে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, দুর্নীতি দমন কাজে সরকার সার্বিক সহায়তা দিচ্ছে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, দুর্নীতিবাজ ব্যক্তি যেই হোক না কেন, কমিশনকে তার শাস্তি অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে। সেই সাথে নিরপরাধ মানুষ যাতে অযথা হয়রানির শিকার না হয় তাও উল্লেখ করেন তিনি।
এছাড়া, রাষ্ট্রপতি শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতের দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে কমিশনকে তাগিদ দেন।
‘বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে। উন্নয়নের এ ধারা অব্যাহত রাখতে সমাজ থেকে অবশ্যই দুর্নীতি নির্মূল করতে হবে। নতুন প্রজন্মকে দুর্নীতি থেকে দূরে রাখতে উদ্বুদ্ধকরণ কার্যক্রম চালাতে হবে,’ যোগ করেন তিনি।
দুদক কমিশনার এএফএম আমিনুল ইসলাম ও মোজাম্মেল হক খান এবং রাষ্ট্রপতির সংশ্লিষ্ট সচিবরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।