মৃতদের আত্মীয়স্বজন এবং স্থানীয় তাতভান জেলা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও বিটলিস প্রদেশের প্রধান প্রসিকিউটর কার্যালয়ের সার্বিক সহযোগিতায় আঙ্কারার বাংলাদেশ দূতাবাস লাশগুলো বৃহস্পতিবার দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা নিয়েছে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
গত ২৫ ডিসেম্বর বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের অভিবাসীদের বহনকারী একটি নৌকা ভান হ্রদে ডুবে গেলে সাতজন মারা যান। দুর্ঘটনার পর ৬৪ জনকে উদ্ধার করে কাছের হাসপাতাল ও আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়।
তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারা হতে প্রায় দেড় হাজার কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এ হ্রদটি ইরান সীমান্তের কাছে অবস্থিত। সেখান থেকে অভিবাসীরা প্রায়ই ইউরোপে যাওয়ার জন্য তুরস্কে প্রবেশ করেন। এলাকাটি খুবই দুর্গম ও তুষারময়।
বাংলাদেশ দূতাবাসের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নৌকাডুবে মৃতদের মধ্যে কয়েকজন বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে চিহ্নিত হলে স্থানীয় প্রশাসন ২৭ ডিসেম্বর দূতাবাসকে অবহিত করে। পরদিনই দূতাবাসের একটি দল দ্রুততার সাথে দুর্ঘটনাস্থল তাতভান জেলায় যায় এবং সরকারি হাসপাতালের হিমাগারে রক্ষিত মৃতদেহ থেকে চারজনকে বাংলাদেশি হিসেবে চিহ্নিত এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ হতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, ছবি এবং মৃতদেহের ওপর তৈরি সিডি সংগ্রহ করে। সেই সাথে জীবিতদের সাক্ষাৎকার নেয় এবং নৌকাডুবির বিস্তারিত ঘটনা অবহিত হয়।
দুর্ঘটনার পর ১১ বাংলাদেশিকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। তারা বর্তমানে তুরস্কের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে আছেন বলে দূতাবাস জানিয়েছে।