সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে শনিবার দুপুরে ত্রাণ বিতরণ করতে যান প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ। তিনি স্থানীয় থানা বাজারে ত্রাণ বিতরণ শেষে ফিরে আসেন। এরপর ত্রাণ নিয়ে উপস্থিত বন্যার্ত লোকজনের মধ্যে কাড়াকাড়ির ঘটনা ঘটে।
এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনাতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। তবে এতে কেউ আহত হননি।
স্থানীয়রা জানান, প্রায় ৫০ হাজার লোক পানিবন্দি থাকলেও মন্ত্রী যে ত্রাণ নিয়ে এসেছেন সেটি ছিল অপ্রতুল। মন্ত্রী চলে যাওয়ার পর ত্রাণ নিয়ে মানুষজনের মধ্যে কাড়াকাড়ি শুরু হয়।
আরও পড়ুন: করোনা: উপকূলীয় অঞ্চলে নৌবাহিনীর ত্রাণ বিতরণ
তারা জানান, মন্ত্রী দুপুরে থানা বাজার এলাকায় ৩০ জন মানুষের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করেন। তখন ওখানে ত্রাণের জন্য অপেক্ষায় ছিলেন কয়েকশ’মানুষ। মন্ত্রীর পক্ষ থেকে কোম্পানীগঞ্জের ছয়টি ইউনিয়নে ১৩০টি ত্রাণের প্যাকেট বিতরণ করা হয়। বাকিরা ত্রাণ পেতে হাহাকার শুরু করে। এতে করে সেখানে ব্যাপক বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়।
এ ব্যাপারে প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেন, আমরা যতই ত্রাণ দেই না কেন, তারপরও কিন্তু কম পড়বে। আমরা কোনো ইউনিয়নে ১০০ মণ চাল দিলে ১০০ জন পাবে, যদি ২০০ জন চলে আসে, তাহলে অর্ধেক করে সেটা দেয়া যায়, যদি খোলা চাল ও গম থাকে। কিন্তু প্যাকেট করা খাবার তো ভাগ করা যায় না। তাই যারা আগে থেকে তালিকাভুক্ত হয়েছে তাদেরকে দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, কেউ যদি নির্দিষ্টভাবে দেখাতে পারে যে তালিকায় অনিয়ম হয়েছে, আমি কঠিন ব্যবস্থা নেব। আগে এরকম হয়েছে, কিন্তু এখন এই অপবাদ আমি মাথায় নেবো না। যেহেতু ত্রাণ পায় নাই, তাই গণ্ডগোল করেছে, এটা ফেয়ার গণ্ডগোল না, আনফেয়ার গণ্ডগোল।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে ১ হাজার পরিবারের মাঝে যুবলীগের ত্রাণ বিতরণ
ইমরান আহমদ বলেন, সরকারও যতই দিক না কেন, এরকম হবে আর এর মধ্যেই কিন্তু মানুষকে বুঝিয়ে বলতে হবে যে এখন পাননি, কিন্তু অবশ্যই আপনি পরবর্তীতে পাবেন। আলটিমেটলি ঘুরে ঘুরে সবার কাছেই যাবে এবং কেউই বাদ পড়বে না।