দূর্গাপূজাকে ঘিরে কোনো ধরনের উচ্ছৃঙ্খলতা বা নাশকতা না হয় সেজন্য পুলিশের পক্ষ থেকে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
এবারের দুর্গা উৎসবে হুমকি বা ঝুঁকির কোনো তথ্য না থাকলেও দুর্গাপূজায় সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমসমূহ নজরদারিতে রাখবে নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এছাড়া পূজা মণ্ডপ ও আশপাশের পোশাক ও সাদা পোশাকধারী পুলিশ এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে।
পূজা চলাকালীন সময়ে বৈধ দোকান ও বারেও মদ বিক্রি বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার মাহবুবুর রহমান।
তিনি বলেন, পূজায় আনন্দ উৎসব হবে তাতে কোনো সমস্যা নেই, কিন্তু মাদক সেবন করে কোনো ধরনের উচ্ছৃঙ্খলতা আমরা করতে দেব না। তাই পূজা চলাকালে নগরীতে মদ বিক্রি বন্ধ করা হয়েছে। এরপরও কেউ লুকিয়ে অবৈধভাবে মদ বিক্রি করলে বা বহনের সময় পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমরা চাই, সুন্দরভাবে সুশৃঙ্খল পরিবেশে যাতে সবাই মিলেমিশে পূজার আনন্দ করতে পারে।
পুলিশ জানায়, চট্টগ্রাম নগরীতে এ বছর ২৫৭টি মণ্ডপে পূজা হবে। এগুলোর মধ্যে মধ্যে ১১৮টি অধিক গুরুত্বপূর্ণ, ১১১টি গুরুত্বপূর্ণ ও ২৮টি সাধারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। অধিক গুরুত্বপূর্ণ মণ্ডপে তিনজন পুলিশ সদস্যের সঙ্গে আটজন আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। গুরুত্বপূর্ণ ও সাধারণ মণ্ডপে দুইজন পুলিশ সদস্যের সঙ্গে চারজন আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন।
নিরাপত্তার বিষয়ে সিএমপি কমিশনার বলেন, আমরা আশা করি এবারের দুর্গাপূজা উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে। পূজার উৎসবে যেন অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা না ঘটে সে বিষয়ে সতর্ক রয়েছি আমরা। পূজার শুরু থেকে বিসর্জন পর্যন্ত বিভিন্ন স্তরে সাজানো হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
এবার সর্বোচ্চ পূজা হচ্ছে কোতোয়ালী থানা এলাকায় ৮২টি, কর্ণফুলী থানায় ২১, পাহাড়তলী থানায় ২১, বন্দর থানায় ১৮, চান্দগাঁও থানায় ১৭, সদরঘাট থানায় ১৫, আকবর শাহ থানায় ১৩, চকবাজার থানায় ১০, পতেঙ্গা থানায় ১০, পাঁচলাইশ থানায় ১০, খুলশী থানায় ৯, বায়েজিদ বোস্তামি থানায় ৭, বাকলিয়া থানায় ৬, ডবলমুরিং থানায় ৪, হালিশহর থানায় ৮ ও ইপিজেড থানায় ৬টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা হচ্ছে।