আগামী ৬ মাসের মধ্যে অর্থপাচার প্রতিরোধে বিদ্যমান কয়েকটি আইনের সংশোধনসহ আরও ১৫টি আইন সংসদে পাস করা হবে উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, দুর্নীতি দেখলে অন্যদের মতো তিনিও মর্মাহত হন।
বুধবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকের এক ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, সংসদে এই আইনগুলো পাস হওয়ার পর আপনারা দুর্নীতির যথেষ্ট অবনতি দেখতে পাবেন।’
আরও পড়ুন: করোনায় ২.৫ কোটি মানুষ দরিদ্র হবার দাবি নাকচ অর্থমন্ত্রীর
অর্থমন্ত্রী জানান, যখন অর্থপাচার দেখেন তখন তিনিও জনগণের মতোই একই কষ্ট অনুভব করেন।
মুস্তফা কামাল বলেন, ‘অর্থ পাচারকারীদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। যারা চিহ্নিত ছিল তাদের কারাগারে সাজা দেয়া হয়েছে বা বিচার চলছে।’
মন্ত্রী বলেন, দুটি কারণে অর্থপাচার হয়, প্রথমত অনেকেই এটিকে বিনিয়োগের অন্যতম মাধ্যম মনে করেন, দ্বিতীয়ত লোভের কারণে অনেকেই এটি করে থাকে।
আরও পড়ুন: বাজেট: ক্রমবিকাশের পথে সুবিধা এবং চ্যালেঞ্জসমূহ তুলে ধরেলেন অর্থমন্ত্রী
আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, আমরা যদি বিনিয়োগের ভালো পরিবেশ তৈরি করতে পারি তাহলে যারা বাইরে বিনিয়োগ করেন তারা তা দেশে করবেন।
এর আগে ৭ জুন সংসদে মন্ত্রী বলেন, ‘এমন একটা সময় ছিলে যখন সিমেন্টের নাম করে বালু আসত। এক পণ্যের নাম করে আরেকটা পণ্য আসত। তবে এখন আন্ডারইনভয়েসিং, ওভারইনভয়েসিং খুব কমই হয়। তবে একদম বন্ধ হয়ে গেছে বলব না। আমরা পত্রপত্রিকায় এমন খুব কমই দেখতে পাই।’
আরও পড়ুন: আর্থিক খাতে দুর্নীতির ব্যাপারে সরকারের জিরো টলারেন্স: অর্থমন্ত্রী
তিনি বলেন, 'আমি জানি কীভাবে এগুলো হয়, তবে কারা করে জানি না। অদক্ষ ব্যবস্থাপনা, অকার্যকারী ব্যবস্থাপনার কারণে এগুলো হয়। এই বিষয়গুলো সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করা হবে।' ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো যাতে দায় নিয়ে কাজ করতে পারে, সে ব্যবস্থা করে দিতে নতুন নতুন আইন করা হবে বলে মন্ত্রী জানান।