শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর থেকেই বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু হয়। পরবর্তীতে ৭০'র নির্বাচনে বিজয়ের পর বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে পাকিস্তানিদের ষড়যন্ত্রের মাত্রা আরও বেড়ে যায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছিল সকল আন্দোলনের সূতিকাগার। আর একাত্তরে এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েই অপারেশন সার্চ লাইটের নামে মাটিতে মিশিয়ে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল।’
মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের মিনি অডিটোরিয়ামে আয়োজিত শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শাবিপ্রবি উপাচার্য বলেন, ‘দীর্ঘ নয়মাসের যুদ্ধে পাকিস্তানিদের শেষ ষড়যন্ত্র ছিল বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা। জাতিকে মেধাশূন্য করতে তারা বুদ্ধিজীবীদের হত্যার পথ বেছে নেয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারাদেশে বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে ৯৫১ জন শিক্ষককে হত্যা করা হয়েছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমানে বাংলাদেশ সবক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে। ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবীদের জীবনদানকে নতুন প্রজন্মের উচিৎ কৃতজ্ঞতায় স্মরণ করা।’ বুদ্ধিজীবীদের ত্যাগকে দেশপ্রেমে উৎসাহিত করে ভবিষ্যত বাংলাদেশকে স্বনির্ভরভাবে নেতৃত্ব দানে তরুণ প্রজন্মের সর্বদা কাজ করা উচিত বলে তিনি মনে করেন।
আরও পড়ুন: ‘টোটাল সাস্ট’ প্রকল্পে শাবিপ্রবি হবে পেপারলেস ডিজিটাল ক্যাম্পাস: উপাচার্য
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও মহান বিজয় দিবস উদযাপন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রাশেদ তালুকদারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম ও শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. তুলসী কুমার দাস।
শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোহম্মদ মহিবুল আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন- সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. মো. জহির বিন আলম, অধ্যাপক ড. মস্তাবুর রহমান, ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমদ, প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আলমগীর কবীর প্রমুখ।
এর আগে মঙ্গলবার সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের উপস্থিতিতে কালো ব্যাজ ধারণের মাধ্যমে দিবসটি পালন শুরু হয়। এরপর সকাল ৯টায় জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম। এছাড়া সন্ধ্যায় বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে শহীদ মিনার, বঙ্গবন্ধু চত্বর ও চেতনা-৭১ এ মোমবাতি প্রজ্বালন করা হয়।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানিদের কাজ ছিল এ দেশের মুক্তিযোদ্ধাদের নিশ্চিহ্ন করা: শাবিপ্রবি উপাচার্য