এ নিয়ে দেশে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৬ হাজার ৩৮৮ জনে।
এছাড়া, নতুন করে ২ হাজার ৬০ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হওয়ায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪ লাখ ৪৭ হাজার ৩৪১ জনে পৌঁছেছে।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, দেশের সরকারি ও বেসরকারি ১১৭ ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৩ হাজার ৬৬৫টি এবং পরীক্ষা করা হয়েছে আগের নমুনাসহ ১৩ হাজার ৮৭০টি। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ২৬ লাখ ৩৯ হাজার ৭২টি।
নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৮৫ শতাংশ। আর মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্ত হার ১৬ দশমিক ৮৯ শতাংশ।
নতুন যে ৩৮ জন মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ২৮ এবং নারী ১০ জন। এখন পর্যন্ত মোট মারা যাওয়াদের মধ্যে পুরুষ ৪ হাজার ৯০৯ জন বা ৭৬ দশমিক ৮৫ শতাংশ এবং নারী ১ হাজার ৪৭৯ জন বা ২৩ দশমিক ১৫ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ।
আরও পড়ুন: করোনা থেকে জনগণকে সুরক্ষিত রাখতে বিশেষ মনোযোগ দিয়েছে সরকার: প্রধানমন্ত্রী
এদিকে, করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ২ হাজার ৭৬ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৬২ হাজার ৪২৮ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮০ দশমকি শূন্য২ শতাংশ।
গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যুর কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
বিশ্ব পরিস্থিতি
করোনাভাইরাসের প্রকোপ বেড়েই চলেছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শুরু হয়েছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। করোনা শনাক্তের পাশাপাশি সমানতালে বেড়ে চলেছে মৃত্যু।
জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের (জেএইচইউ) প্রকাশিত সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী- রবিবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ কোটি ৮০ লাখ ৭৬ হাজার ৭৫ জনে।
এছাড়া কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ১৩ লাখ ৭৯ হাজার ৫০৮ জনে দাঁড়িয়েছে।
জেএইচইউ এর তথ্য অনুযায়ী- এদিন সকাল পর্যন্ত সারা বিশ্বে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস থেকে সুস্থ হয়েছেন ৩ কোটি ৭১ লাখ ৬৭ হাজার ৭০৩ ব্যক্তি।
গত বছর চীনের উহানে প্রথম করোনা শনাক্ত হয়। পরে চলতি বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)করোনাকে মহামারি ঘোষণা করে। এর আগে ২০ জানুয়ারি জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।
এদিকে করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্ত ১ কোটি ২০ লাখ ৮৫ হাজার ৩৮৯ জনে দাঁড়িয়েছে এবং ২ লাখ ৫৫ হাজার ৮২৩ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।
পৃথিবীর দ্বিতীয় জনবহুল দেশ ভারত রয়েছে করোনা আক্রান্ত দেশের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে। ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল আক্রান্ত দেশের তালিকায় তৃতীয় স্থানে থাকলেও সর্বাধিক মৃতের সংখ্যায় রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারতে মোট আক্রান্ত ৯০ লাখ ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষ এবং মারা গেছেন ১ লাখ ৩২ হাজার ৭২৬ জন। ব্রাজিলে মোট শনাক্ত রোগী ৬০ লাখ ৫২ হাজার ৭৮৬ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৬৮ হাজার ৯৮৯ জনের।