কোভিড-১৯ মহামারি এবং দীর্ঘস্থায়ী রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে লিবিয়ায় আটকে পড়া ১৬০ জন বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন।একই ফ্লাইটে দেশটিতে মারা যাওয়া একজন বাংলাদেশির মরদেহও পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সরকারের সাথে সমন্বয়ের মধ্যমে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) স্বেচ্ছায় মানবিক প্রত্যাবর্তন (ভিএইচআর) কর্মসূচির আওতায় এসব অভিবাসীকে নিরাপদে বাংলাদেশে ফিরিয়ে এনেছে।
অভিবাসীদের বহনকারী বিমানটি ৪ মে লিবিয়ার বেনগাজী শহর থেকে ছেড়ে আসে এবং বুধবার ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। প্রত্যাবাসীদের মধ্যে ১৫৯ জন পুরুষ ও একজন নারী রয়েছেন।
আইওএম লিবিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসের সাথে সমন্বয় করে এই অভিবাসীদের নিরাপদে দেশে ফিরতে সহায়তা করে।
লিবিয়া প্রস্থানের আগে প্রত্যাবর্তনকারীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা, কাউন্সেলিং পরিসেবা, যাতায়াত, স্ক্রিনিংসহ প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেয় আইওএম। বর্তমান কোভিড-১৯ পরিস্থিতি বিবেচনা করে, সব প্রত্যাবর্তনকারীকে ব্যক্তিগত সুরক্ষামূলক সরঞ্জাম (পিপিই) দেয়া হয় এবং প্রস্থানের আগে কোভিড-১৯ পরীক্ষা (পিসিআর) করা হয়।
ঢাকায় সরকারি কর্মকর্তা এবং আইওএম বাংলাদেশের কর্মীরা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অভিবাসীদের গ্রহণ ও প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করে। বিমানবন্দর থেকে বাড়ি ফিরতে প্রত্যেক প্রত্যাবাসীকে আর্থিক সহযোগিতাও দেয় আইওএম।
আরও পড়ুন: লিবিয়ায় আটকা পড়া ১৪১ বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন
ফিরে আসা একজন অভিবাসী বলেন, ‘লিবিয়ায় জীবন অত্যন্ত বিপজ্জনক ছিল, কারণ সেখানে প্রতিকূলতা অব্যাহত ছিল। আমি পর্যাপ্ত অর্থ উপার্জন করতে না পারায় দেশে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ওখানে থাকতে খুব কষ্ট হচ্ছিল। আমাকে ফিরিয়ে আনার জন্য আইওএম এবং বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানাই। অনেক বছর পর আমার পরিবারকে দেখতে পাব বলে খুবই আনন্দিত আমি।’
আইওএম বাংলাদেশের মিশন প্রধান গিওরগি গিগাওরি বলেন, ‘বাংলাদেশি অভিবাসীরা লিবিয়ায় অসহায় অবস্থায় ছিলেন। কোভিড -১৯ তাদের বিপদাপন্নতাকে আরও বাড়িয়ে দেয়। এই অভিবাসীদের নিরাপদে ও মর্যাদাপূর্ণ উপায় ফিরয়ে আনা এবং তাদের পুনরেকত্রীকরণে সহযোগিতা করা আমাদের প্রথম অগ্রাধিকার। এটি করার জন্য আমরা বাংলাদেশ সরকারের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করছি। সরকারের চলমান প্রচেষ্টার জন্য আমি তাদের ধন্যবাদ জানাই।’