যে কোনো ধরনের অপরাধের সঙ্গে বাংলাদেশ পুলিশের কোনো সদস্য জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছেন বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
গত বৃহস্পতিবার(১৩ জুন) নারায়ণগঞ্জ জেলার পাঁচ পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
শনিবার(১৫ জুন) পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া) এনামুল হক সাগর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া কোরবানির পশুবাহী যানবাহন থামানো যাবে না: আইজিপি
একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে কোরবানির পশুবাহী গাড়ি থেকে কয়েকজন পুলিশ সদস্যের চাঁদা আদায়ের খবর প্রচারের পরপরই ওই পাঁচ পুলিশ সদস্যকে বরখাস্তের নির্দেশ দেন জেলার পুলিশ সুপার (এসপি)।
বরখাস্তরা হলেন- এসআই (নিরস্ত্র) শেখ নজরুল ইসলাম, এসআই (অস্ত্র) আসাদুজ্জামান এবং তিন কনস্টেবল নাজির শেখ, যুগল মণ্ডল ও তানভীর হোসেন আকাশ।
ঘটনা তদন্তে নারায়ণগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে (অপরাধ) প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
কারও বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কোরবানির পশুর হাটে কারও বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি বা হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিচ্ছে পুলিশ। যেই দোষী হোক না কেন তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।