তাদের মধ্যে লালমনিরহাটের জেলা ও দায়রা জজ ফেরদৌস আহমেদ ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন আছেন। অন্যরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছেন।
দেশের জেলা জজদের মাধ্যমে হাইকোর্ট প্রশাসনের কাছে এ তথ্য পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র ও স্পেশাল অফিসার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে আদালতে বিচারকার্য পরিচালনা এবং দায়িত্ব পালনকালে সারা দেশে অধস্তন আদালতে এ পর্যন্ত ১৩ জন বিচারক এবং ২৬ জন কর্মচারী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া উপসর্গ নিয়ে আইসোলেশনে আছেন আরও চারজন বিচারক।’
আরও পড়ুন: করোনায় এক দিনে অর্ধশতাধিক মৃত্যু দেখল দেশ
তিনি জানান, সর্বপ্রথম নেত্রকোনা জেলা ও দায়রা জজ শাহজাহান কবির করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন এবং একই দিনে মুন্সিগঞ্জের চিফ জুডিশিয়াল মাজিস্ট্রেট বেগম রোকেয়া রহমানও আক্রান্ত হন। বর্তমানে তারা দুজন সুস্থ হয়ে আবার কাজে যোগদান করেছেন। এ মুহূর্তে ঢাকার সিএমএইচে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন আছেন লালমনিরহাটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ফেরদৌস আহমেদ। তাকে প্লাজমা দেয়া হয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৮ এর বিচারক বেগম শামীম আহমেদ।
অধস্তন আদালতের আর যেসব বিচারক বর্তমানে করোনা আক্রান্ত হয়ে নিজ বাসায় চিকিৎসাধীন আছেন তারা হলেন- কিশোরগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক কিরণ শংকর হালার, জয়পুরহাটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. রুস্তম আলী, আইন ও বিচার বিভাগের উপসচিব এস মোহাম্মদ আলী, কুড়িগ্রামের ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. তৈয়ব আলী, ডিপিডিসি-২ এর স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম রেজমিন সুলতানা, নেত্রকোনার সহকারী জজ মো. মেহেদী হাসান, চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু সালেহ মোহাম্মদ নোমান এবং নোয়াখালীর হাতিয়ার চৌকি আদালতের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. নিজাম উদ্দিন।
সাইফুর রহমান আরও জানান, আক্রান্ত বিচারকদের সাথে প্রধান বিচারপতি কথা বলেছেন এবং তিনি সার্বক্ষণিক তাদের খবর রাখছেন। সুপ্রিম কোর্ট থেকে ২৬ কর্মচারীর চিকিৎসার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট জেলা জজদের অনুরোধ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এর আগে, গত ১৪ জুন নিম্ন আদালতের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বিচারবিভাগীয় কর্মকর্তা ও সহায়ক কর্মকর্তা-কার্মচারীদের তথ্য চেয়ে সার্কুলার জারি করে হাইকোর্ট প্রশাসন।