গত শুক্রবার তিন সদস্যের মেডিকেল বোর্ড ডেলিভারি না হওয়া পর্যন্ত মনিকে পূর্ণাঙ্গ বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দিলেও তাকে আজ মামলার বিচার কাজে অংশ নিতে আদালতে হাজির করা হয়।
এব্যাপারে মনির আইনজীবী আহসান কবির বেঙ্গল জানান, অসুস্থতার বিষয়ে আবেদনের প্রেক্ষিতে তাকে অ্যাম্বুলেন্সযোগে আদালতে হাজির করার জন্য কারা কর্তৃপক্ষের প্রতি আদেশ দেন ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের বিচারক মামুনুর রশিদ। এমন আদেশের পর কারা কর্তৃপক্ষ অ্যাম্বুলেন্সযোগে আসামিকে আনা-নেয়ার সক্ষমতা নেই বলে আদালতকে অবহিত করেন।
জানা গেছে, শনিবার সকালে ফেনী সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. আবু তাহের, জুনিয়র কনসালটেন্ট (গাইনি) ডা. রোকশানা বেগম, ডা. মো. ছায়েদুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা ফেনী কারাগারে গিয়ে হাজতী কামরুন নাহার মনির শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন এবং প্রতিবেদন দাখিল করেন। এতে উল্লেখ করেন, কামরুন নাহার মনি, বয়স-১৯। তিনি ৩৭ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা। আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর তার সন্তান প্রসবের সম্ভবনা রয়েছে। শারীরিক পরীক্ষা ও পর্যবেক্ষণ করে মেডিকেল বোর্ড সিদ্ধান্ত নেন যেকোনো চলাফেরা প্রসূতি ও তার সন্তানের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। তাই তারা ডেলিভারি সময় পর্যন্ত তাকে পূর্ণাঙ্গ বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দেন।
ফেনী আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. আবু তাহের জানান, মনির শারীরিক যে অবস্থা তাতে যে কোনো ধরনের চলাফেরা মা ও তার অনাগত সন্তানের জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। চলাফেরা করলে মা ও সন্তানের মৃত্যু হতে পারে।
মেডিকেল বোর্ডের প্রতিবেদনের বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের পিপি হাফেজ আহাম্মদের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি এ ব্যাপারে কিছুই জানেন না বলে মন্তব্য করেন।
ফেনী জেলা কারাগারের ডেপুটি সুপার মনির আহম্মদ জানান, মেডিকেল বোর্ডের প্রতিবেদন অনুমোদনের জন্য সিভিল সার্জনের কাছে পাঠানো হয়েছে, তবে তা এখন পর্যন্ত কারাগারে পৌঁছায়নি। হাতে এলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দায়ের করা যৌন হয়রানির মামলা তুলে না নেয়ায় ৬ এপ্রিল নুসরাতের গায়ে আগুন দিয়ে হত্যার চেষ্টা চালায় অধ্যক্ষের অনুসারীরা। পরে ১০ এপ্রিল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।