পাশাপাশি পিকে হালদার যেদিন দেশ ত্যাগ করেন সেদিন বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশনে দায়িত্বরতদের এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সংশ্লিষ্ট দায়িত্বে কে ছিলেন তার তালিকা দাখিল করতে বলা হয়েছে। একই সাথে পিকে হালদারের মামলার সর্বশেষ অগ্রগতিও জানাতে চেয়েছে আদালত।
সোমবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
আরও পড়ুন: পিকে হালদারের ২ সহযোগী গ্রেপ্তার
অর্থপাচারকারী পিকে হালদারের বান্ধবী ৩ দিনের রিমান্ডে
টকশো’তে পিকে হালদার: একাত্তর টিভির ব্যাখ্যা জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট
আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ।
আজ অর্থপাচার রোধে কাজ করা বাংলাদেশ ব্যাংকের তিনটি বিভাগে ২০১০ সাল থেকে কর্মরত ৩৯৪ জন কর্মকর্তার তালিকা হাইকোর্টে দাখিল করা হয়।
ওই তিন বিভাগে গত ২০০৮ থেকে ২০২০ সালে দায়িত্বে থাকাদের নাম, পদবী ও ঠিকানা সরবরাহ করতে ২১ জানুয়ারি নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। একই সাথে ওই সময়ে অর্থপাচার রোধে এসব কর্মকর্তার ব্যর্থতা ছিল কি না এবং দায়িত্ব পালনে ব্যর্থদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়েছিল কি না তা ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংককে জানাতে বলা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: পিকে হালদারের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি
পিকে হালদারকে ফেরাতে কী পদক্ষেপ, জানতে চায় আদালত
এ আদেশ অনুসারে আজ বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, ডিপার্টমেন্ট অব ফিনান্সিয়াল ইনস্টিটিউশন্স অ্যান্ড মার্কেটসে ১৪৭, ফিনান্সিয়াল ইনস্টিটিউশন্স ইন্সপেকশন ডিপার্টমেন্টে ৫৭ এবং ইন্টারন্যাল অডিট ডিপার্টমেন্টে ১৯০ জন ২০১০ সালে থেকে কর্মরত আছেন।
এর আগে ২০০৮ ও ২০০৯ সালে ম্যানুয়েল সিস্টেম থাকায় তখনকার কর্মকর্তাদের তালিকা প্রণয়নে সময় চেয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এছাড়া জালিয়াতি ও অর্থপাচারে ব্যর্থতা বিষয়ে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ জন্যও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সময় প্রয়োজন।
এ বিষয়গুলো উপস্থাপনের পর আদালত পিকে হালদারের বিদেশ যাওয়া নিয়ে আদেশ দেয় বলে জানিয়েছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমিন উদ্দিন।
আরও পড়ুন: টাকা উদ্ধারে সহযোগিতা করতে দেশে ফিরতে চান পিকে হালদার
পিকে হালদার সম্পর্কে পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে গত ১৯ নভেম্বর তাকে বিদেশ থেকে ফেরাতে এবং গ্রেপ্তার করতে কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তা জানতে চেয়ে স্বপ্রণোদিত আদেশ দেয় হাইকোর্ট। ওই আদেশের ধারাবাহিকতায় ২১ জানুয়ারি ব্যাংক কর্মকর্তাদের নামের তালিকা জামার আদেশ দেয় হাইকোর্ট।