পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট হোসে রামোস-হোর্তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করেছেন পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
রবিবার রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে দুই দেশের সম্পর্ক আরও গভীর করার বিষয়ে আলোচনা করেন তারা।
শিগগিরই প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে একান্ত বৈঠক করবেন প্রেসিডেন্ট রামোস। এরপর প্রতিনিধি পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
ড. ইউনূস ও প্রেসিডেন্ট হোসে রামোস-হোর্তা রবিবার দুপুর সোয়া ১২টায় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে হাজির হবেন।
যৌথ সংবাদ সম্মেলনে দুই দেশ ভিসা ছাড় এবং ফরেন অফিস কনসালটেশনের (এফওসি) জন্য একটি সমঝোতা স্মারক সই করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ঢাকায় অবস্থানকালে রাষ্ট্রপতি দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারের লক্ষ্যে একাধিক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক ও অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন।
চার দিনের সরকারি সফরে শনিবার রাতে তাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: নেচারের শীর্ষ ১০ ব্যক্তির তালিকায় ড. ইউনূস
রাত ১০টা ৪০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রেসিডেন্ট রামোস হোর্তাকে স্বাগত জানান প্রধান উপদেষ্টা।
বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল তাকে রাষ্ট্রীয় স্যালুট ও গার্ড অব অনার দেয়। দুই দেশের জাতীয় সংগীত বাজানো হয়।
পূর্ব তিমুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ ১৯ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল রামোস-হোর্তার সঙ্গে রয়েছেন।
রবিবার বিকেলে পূর্ব তিমুরের অনারারি কনসাল কুতুবউদ্দিন আহমেদ এবং বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি ও বিএনপি নেতা তাবিথ আউয়ালের সঙ্গে বৈঠক করবেন রামোস-হোর্তা।
১৬ ডিসেম্বর রামোস-হোর্তা বঙ্গভবনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। তিনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে যাবেন।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক বিজয় উপলক্ষে আয়োজিত ৫৪তম বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন রাষ্ট্রপতি।
পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট তার শেষ দিন ১৭ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) মিলনায়তনে 'সমসাময়িক বিশ্বে শান্তির চ্যালেঞ্জ' শীর্ষক বক্তৃতা দেবেন।
বাংলাদেশের শিক্ষার্থী ও তরুণ নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন তিনি। তার দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞতা, জনগণের ভূমিকা এবং পূর্ব তিমুরের স্বাধীনতা-পরবর্তী আকাঙ্ক্ষা নিয়ে কথা বলবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ ও পূর্ব তিমুরের মধ্যে কূটনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক জোরদারে ভূমিকা রাখবে তার এ সফর।
একই দিন ঢাকা ত্যাগ করবেন প্রেসিডেন্ট রামোস-হোর্তা।
আরও পড়ুন: সংস্কার ও নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে চলতি মাসেই ঘোষণার ইঙ্গিত ড. ইউনূসের