প্রবাসী বাংলাদেশিদের হয়রানিমুক্ত দ্রুত সেবা দেয়ার ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসকদের আরও দায়িত্বশীল হওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড.এ কে আব্দুল মোমেন।
বৃহস্পতিবার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের তৃতীয় দিনে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্ধারিত অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। এসময় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, সচিব মাসুদ বিন মোমেন উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: এখনই লকডাউন দেয়ার কথা ভাবছি না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সুখবরের পাশাপাশি আমাদের কিছু দুঃখও আছে। আমাদের প্রায় এক কোটির বেশি প্রবাসী রয়েছে। তাদের কিছু অভিযোগ আছে যে, তারা সঠিক সময়ে পাসপোর্ট পান না, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স হয় না,দেশে আসলে হয়রানির শিকার হয়, অনেক সময় তাদের ভূমি বেদখল হয়ে যায়, সময় মতো তারা ম্যারিজ সার্টিফিকেট, বার্থসার্টিফিকেট পায় না। বিদেশে মারা গেলে ডেড বডি আনতে তথ্য পাওয়া যায় না এ ধরনের একাধিক অভিযোগ তাদের আছে।
তিনি বলেন, আমরা কোন পাসপোর্ট বা এনআইডি দেই না। তবে এগুলো সংগ্রহ করে বিদেশে পাঠাই। সেগুলো যেতে অনেক সময় এতো দেরি হয় তাতে প্রবাসীরা অসন্তুষ্ট হয়। সেক্ষেত্রে আমরা আশা করব জেলা প্রশাসকরা এক্ষেত্রে আরও যত্নশীল হবেন।এ সময় হয়রানি মুক্ত সহায়তা দিতে জেলা প্রশাসকদের আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে মিশনপ্রধানদের বলিষ্ঠ ভূমিকা চান পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের সহকর্মী বা নির্বাচিত প্রতিনিধি বা সংসদ সদস্যরা বা স্থানীয় প্রশাসন এবং সরকারি অফিসে প্রবাসীদের সে ধরনের সম্মান দেয়া হয় না। যেহেতু তারা নির্বাচিত এবং জনগণের কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সেহেতু এসব বিষয়ে আরও যত্নশীল হতে হবে। তবে দুঃখজনক যে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ হয় না। সেজন্য আমরা বলেছি এদেশের বড় সম্পদ হচ্ছে প্রাণী ও মানুষ। এই মানুষগুলোকে কর্মসংস্থানের জন্য দক্ষতা উন্নয়নের ক্ষেত্রে একটু মনোযোগ দিতে হবে।
তিনি বলেন, স্থানীয় প্রশাসন যেগুলো নিজেরাই করতে পারেন অনেক সময় সেগুলো তারা ঢাকায় পাঠিয়ে দেন এবং নিজের দায়িত্বটা এড়িয়ে যান। এর ফলে সবাই ঢাকা কেন্দ্রিক হচ্ছে। এ বিষয়ে তারা সজাগ হবেন। যেগুলো তাদের করা উচিৎ সেগুলো তারা স্থানীয়ভাবে সমাধান করবেন।