সোমবার ইউনিসেফ জানায়, পরিবহনের প্রস্তুতি অংশ হিসাবে তারা গত সপ্তাহে প্যান আমেরিকান হেলথ অর্গানাইজেশন (পিএএইচও) এবং আন্তর্জাতিক বিমান পরিবহন সমিতি (আইএটিএ) এর সাথে মিলিত হয়ে বিশ্বের বড় বড় আন্তর্জাতিক বিমান সংস্থাগুলোর সাথে আলোচনা করেছে।
এছাড়াও প্রায় এক ১০০ কোটি সিরিঞ্জ সমুদ্রপথে পরিবহনের প্রয়োজন হবে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক শিশু বিষয়ক সংস্থাটি।
ইউনিসেফের সরবরাহ বিভাগের পরিচালক ইটলিভা কাডিলি বলেন, ‘ভ্যাকসিন পেতে কাজ চলছে। আর সেই জীবনরক্ষাকারী ভ্যাকসিনটি দ্রুত ও নিরাপদে সরবরাহ করতে ইউনিসেফ এয়ারলাইনস, ফ্রেট অপারেটর, শিপিং লাইন এবং অন্যান্য লজিস্টিকস এসোসিয়েশনের সাথে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, এই ঐতিহাসিক ও বিশাল কর্মযজ্ঞের জন্য পর্যাপ্ত পরিবহন ক্ষমতা নিশ্চিত করতে এই অমূল্য সহযোগিতা অনেক দূর এগিয়ে নেবে।সবার সহায়তার মাধ্যমে আমরা বিশ্বজুড়ে ফ্রন্ট লাইনে থাকা কর্মীদের সুরক্ষার জন্য কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের ডোজ, সিরিঞ্জ এবং আরও বেশি ব্যক্তিগত সুরক্ষামূলক সরঞ্জাম সরবরাহ করতে প্রস্তুত হয়েছি। তাদের রক্ষা করার মাধ্যমে আমরা চূড়ান্তভাবে কয়েক মিলিয়ন বাচ্চাদের সুরক্ষা দিচ্ছি যারা তাদের সেবার উপর নির্ভরশীল।’
প্রসঙ্গত, শীতের মৌসুমে আবারও করোনাভাইরাসের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শুরু হয়েছে সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ। নতুন রোগী শনাক্তের পাশাপাশি সমানতালে বেড়ে চলেছে মৃত্যু।
সোমবার সকালে জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় (জেএইচইউ) থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী মহামারি কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ১৩ লাখ ৮৬ হাজার ৪৬৫ জনে দাঁড়িয়েছে।
এছাড়া, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে পৌঁছেছে ৫ কোটি ৮৫ লাখ ৬৩ হাজার ৪৫১ জনে।
জেএইচইউ’র তথ্য অনুযায়ী, আজ সকাল পর্যন্ত সারা বিশ্বে প্রাণঘাতী এ ভাইরাস থেকে সুস্থ হয়েছেন ৩ কোটি ৭৪ লাখ ৩১ হাজার ৮৮ ব্যক্তি।
গত বছর চীনের উহানে প্রথম করোনা শনাক্ত হয়। পরে চলতি বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)করোনাকে মহামারি ঘোষণা করে। এর আগে, ২০ জানুয়ারি জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।
করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্ত ১ কোটি ২২ লাখ ২৬ হাজার ৬৪৩ জনে দাঁড়িয়েছে এবং ২ লাখ ৫৬ হাজার ৭৪৫ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।
পৃথিবীর দ্বিতীয় জনবহুল দেশ ভারত রয়েছে করোনা আক্রান্ত দেশের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে। ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল আক্রান্ত দেশের তালিকায় তৃতীয় স্থানে থাকলেও সর্বাধিক মৃতের সংখ্যায় রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারতে মোট আক্রান্ত ৯০ লাখ ৯৫ হাজারেরও বেশি মানুষ এবং মারা গেছেন ১ লাখ ৩৩ হাজার ২২৭ জন। ব্রাজিলে মোট শনাক্ত রোগী ৬০ লাখ ৭১ হাজারের অধিক এবং মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৬৯ হাজার ১৮৩ জনের।