সিঙ্গাপুর ও ইন্দোনেশিয়া থেকে বিপুল পরিমাণ আমদানি করা ভোজ্যতেল চট্টগ্রাম বন্দরে আসার কয়েকদিনের মধ্যে অভ্যন্তরীণ বাজারে ভোজ্যতেলের সরবরাহ স্বাভাবিক হবে।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের (সিপিএ) তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রাম বন্দরে প্রায় ২২ দশমিক ৯ মিলিয়ন লিটার সয়াবিন তেল এসেছে এবং শুক্রবার ১৩ হাজার টন পামতেলের ট্যাঙ্কার বন্দরে আসবে।
জানা গেছে, সিঙ্গাপুর থেকে ২২ মিলিয়ন লিটার অপরিশোধিত সয়াবিন তেল নিয়ে ‘এমভি ওরিয়েন্ট চ্যালেঞ্জ’ নামের একটি জাহাজ গত ২৬ এপ্রিল চট্টগ্রাম বন্দরে আসে। অপরদিকে ১৩ হাজার টন পামতেল বহনকারী জাহাজ ‘এমটি সুমাত্রা পাম’ আসার কথা রয়েছে। ইন্দোনেশিয়ার পতাকাবাহী জাহাজটি ২৬ এপ্রিল ইন্দোনেশিয়ার লুবুক গিয়াং বন্দর থেকে যাত্রা করেছিল। মেরিন ট্রাফিক তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইটে এই তথ্য জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: সয়াবিন তেলের সংকটের জন্য সরকারের নিষ্ক্রিয়তাকে দুষছে বিএনপি
সিপিএ সেক্রেটারি উমর ফারুক সাংবাদিকদের জানান, গত বৃহস্পতিবার তেল নিয়ে সিঙ্গাপুর থেকে একটি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে আসে।
তিনি বলেন, দেশের শীর্ষ চার কোম্পানি সিটি গ্রুপ, সেনা কল্যাণ ভোজ্যতেল, বাংলাদেশ ভোজ্যতেল ও বসুন্ধরা গ্রুপ এ তেল আমদানি করেছে। আমদানি করা তেল খালাসের প্রক্রিয়া ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে।
অন্যদিকে বাংলাদেশে ইন্দোনেশিয়ার জাহাজের স্থানীয় এজেন্ট মোহাম্মদি ট্রেডিং কোম্পানি লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক কাজী আবু নাঈম জানান, ‘এমভি সুমাত্রা পাম’ জাহাজটি শুক্রবার চট্টগ্রাম বন্দরে আসবে।
আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ার পামতেল রপ্তানি বন্ধে বাড়ল সয়াবিন তেলের দাম
ইন্দোনেশিয়া বিশ্বের শীর্ষ পাম তেল রপ্তানিকারক দেশ। বাংলাদেশের প্রয়োজনীয় পামতেলের প্রায় ৯০ শতাংশই সাধারণত ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানি করা হয়। দেশটি (ইন্দোনেশিয়া) ২৮ এপ্রিল মধ্যরাত থেকে পাম তেল রপ্তানি নিষিদ্ধ করেছে।
চট্টগ্রাম কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, ইন্দোনেশিয়া সরকারের পাম তেল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞার আগে দেশের শীর্ষ আমদানিকারকরা এপ্রিল মাসে প্রায় এক লাখ ২০ হাজার টন পাম তেল এনেছিল।
বাংলাদেশ বছরে প্রায় এক দশমিক তিন মিলিয়ন টন পামতেল আমদানি করে। এর ৯০ শতাংশ ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানি করা হয়। বাকি ১০ শতাংশ আসে মালয়েশিয়া থেকে।