চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে পারিবারিক কলহের জেরে ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে পৃথকভাবে কিশোরীসহ তিনজনের আত্মহত্যার খবর পাওয়া গেছে। রবিবার (১১ জুন) ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) (তদন্ত) প্রদীপ মণ্ডল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহতেরা হলেন-উপজেলার গোবিন্দপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের পশ্চিম লাড়ুয়া গ্রামের রণি বেপারীর স্ত্রী তাসলিমা আক্তার (২২), উপজেলার বালিথুবা পশ্চিম ইউনিয়নের সেকদি গ্রামের বারেক রেজার ছেলে প্রবাসফেরত তোফাজ্জল (৩০) এবং উপজেলার পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের নদনা গ্রামের আবদুর রবের মেয়ে ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থী রূপা আক্তার (১২)।
আরও পড়ুন: চবির হলে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ছাত্রীর ‘আত্মহত্যা’
জানা যায়, স্ত্রীকে বাবার বাড়ি থেকে টাকা ধার করে আনতে চাপ দেয়াকে কেন্দ্র করে উপজেলার গোবিন্দপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের পশ্চিম লাড়ুয়া গ্রামের রণি বেপারীর সঙ্গে তার স্ত্রী তাসলিমা আক্তারের বিবাদ হয়। এতে রাগে ও ক্ষোভে তাসলিমা আক্তার শনিবার (১ জুন) সকালে নিজ বসতঘরে থাকা কীটনাশক পান করেন।
পরে তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় চাঁদপুর সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে রেফার্ড করলে পথিমধ্যেই তিনি মারা যান। খবর পেয়ে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ লাশ উদ্বার করে থানায় নিয়ে আসে।
অন্যদিকে, উপজেলার বালিথুবা পশ্চিম ইউনিয়নের সেকদি গ্রামের বারেক রেজার ছেলে প্রবাসফেরত তোফাজ্জল মিয়া পারিবারিক কলহের জের ধরে শনিবার নিজ বসতবাড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। পুলিশ শনিবার দুপুরে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
অন্যদিকে, মায়ের সঙ্গে অভিমান করে রূপা আক্তার নামের এক কিশোরী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। রবিবার বিকালে উপজেলার পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের নদনা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) (তদন্ত) প্রদীপ মণ্ডল জানান, ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ আত্মহত্যাকারী তিনজনের লাশ উদ্ধার করেছে।
তিনি জানান, শনিবার উপজেলার পশ্চিম লাড়ুয়া, সেকদি ও নদনা গ্রাম থেকে এসব লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এছাড়া ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ. মান্নান জানান, সংবাদ পেয়ে থানা পুলিশ তিনটি লাশই উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বিকালে চাঁদপুর জেলা সদর হাসপাতালে পাঠায়। তিনটি পৃথক অপমৃত্যুর মামলা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে স্ত্রীকে হত্যাচেষ্টা, এরপর স্বামীর ‘আত্মহত্যা’