মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ভারপ্রাপ্ত সহকারী মন্ত্রী এলিস ওয়েলসের সাথে বৈঠকে বিষয়টি তুলে ধরেন।
ঢাকা সফররত মার্কিন সহকারী মন্ত্রীকে ড. মোমেন বলেন, ‘আমরা (আমাদের দেশে) আইনের শাসন ও সুশাসন নিশ্চিত করতে চাই, যা আপনারাও (আপনাদের দেশে) চান। কিন্তু সমস্যা হলো যে এক পলাতক খুনি আপনাদের দেশে বাস করছেন। আমরা তাকে ফেরত চাই।’
বৈঠক শেষ তিনি নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
এলিস ওয়েলস পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানিয়েছেন যে দণ্ডের নথিপত্র দেখার পর তারা এ বিষয়ে বাংলাদেশকে জানাবে।
বাংলাদেশ আশা করে, বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিদের ফেরত দেয়ার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা এক ‘ভিন্নতা’ সৃষ্টি করবে।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে পরিবারের অধিকাংশ সদস্যসহ নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার হন বঙ্গবন্ধু। এ ঘটনায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১২ আসামির মধ্যে পাঁচজনের দণ্ড ২০১০ সালের জানুয়ারিতে কার্যকর করা হয়। একজন ২০০১ সালে জিম্বাবুয়েতে মারা যান। বাকি ছয় আসামি পলাতক। তাদের মধ্যে নুর চৌধুরী কানাডায় এবং রাশেদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রে আছেন।