বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের আদর্শ ও আত্মত্যাগের দৃষ্টান্ত যুগে যুগে নতুন প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধুর যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গঠনের প্রচেষ্টায় বঙ্গমাতা বঙ্গবন্ধুকে পরামর্শ ও প্রেরণা প্রদানের সাথে সাথে নিজেও নির্যাতিত মা-বোনদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন এবং তাদের সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠা করার উদ্যোগ নেন।’
রবিবার (৮ আগস্ট) বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯১তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আয়োজিত ওয়েবিনারে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. মোমেন বলেন, প্রকাশ্য রাজনীতি না করলেও প্রয়োজনে বঙ্গমাতা নিজেই সক্রিয় হয়েছেন আন্দোলন-সংগ্রামে। তিনি প্রায় সকল আন্দোলন-সংগ্রামে বিভিন্নভাবে ভূমিকা রাখেন। স্বকীয় বৈশিষ্ট্য ও স্বমহীমায় অনন্য বঙ্গমাতা চিরায়ত বাঙালি নারীর পরিচয়কে ছাপিয়ে গিয়েছিলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী উল্লেখ করেন, বঙ্গমাতা আমৃত্যু স্বামীর পাশে থেকে একজন যোগ্য ও বিশ্বস্ত সহচর হিসেবে বাঙালির প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে নেতৃত্ব দেয়ার কাজে বঙ্গবন্ধুকে পরামর্শ ও সহযোগিতা করে এসেছেন।
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী কিংবা কারাগারের রোজনামচা বইয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার নানান স্মৃতিচারণায় বঙ্গমাতার যে চারিত্রিক বিচক্ষণতা ও দৃঢতার কথা জানা যায় তা অনুকরণীয়।’
ড. মোমেন বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন-আদর্শকে বুঝতে হলে তার কর্ম সম্পর্কে জানার পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুর ছায়াসঙ্গী হয়ে পাশে থাকা বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের অবদানও জানা প্রয়োজন। অন্যথায় বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে আমাদের জানা অসম্পূর্ণ রয়ে যাবে। একই সাথে বাঙালি জাতির মুক্তির সংগ্রামে এই মহীয়সী নারীর অবদানের কথাও অজানা রয়ে যাবে।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ।
তিনি বাঙালির প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে বঙ্গমাতা কীভাবে বঙ্গবন্ধুর পাশে থেকে তাকে প্রেরণা দিয়েছেন ও বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে কীভাবে রাজনৈতিক কার্যক্রম এগিয়ে নিয়েছেন সে বিষয়টি প্রাণবন্তভাবে তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য দেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।
এসময় আলোচনা সভার মুখ্য আলোচক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রো-ভিসি ও ভূগোল বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ও বঙ্গবন্ধু পরিবারের নিকটতম প্রতিবেশী ড. নাসরিন আহমাদ বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নোছা মুজিব সম্পর্কে আবেগঘন স্মৃতিচারণ করেন।
আরও পড়ুন: দেশে টিকার কোন সংকট নেই: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সংকট মোকাবিলায় আসিয়ান নেতাদের সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের আহবান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
সিনোফার্মেরর সাথে যৌথ টিকা উৎপাদনে সমঝোতা স্মারক প্রস্তুত: পররাষ্ট্রমন্ত্রী