বাগেরহাট, চুয়াডাঙ্গা ও কুমিল্লায় বজ্রপাতে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (১১ মে) সকালে এসব মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার রায়েন্দা বান্দঘাটায় বজ্রপাতে দুই শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলেন- মোরেলগঞ্জ উপজেলার মিলন ও পিরোজপুর জেলার আইয়ুব আলীর ছেলে মোস্তফা।
শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এইচ এম কামরুজ্জামান জানান, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বৃষ্টির সময় বান্ধঘাট এলাকায় একটি মালবাহী বাহনে ইট ও বালু বোঝাই করার সময় কয়েকজন শ্রমিক বজ্রপাতের শিকার হন। এতে ঘটনাস্থলেই দুইজন নিহত হন এবং আহত হন আরও ৬জন।
আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা ও দর্শনা উপজেলার পৃথক স্থানে বজ্রপাতে দুই কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।
নিহতরা হলেন- দামুড়হুদা উপজেলার পাতাছড়া গ্রামের মৃত খেদার মল্লিকের ছেলে আহমেদ মল্লিক, দর্শনা উপজেলার ঝাজরি গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে রুবেল। এতে আহত হয়েছেন একই উপজেলার গোবিন্দহুদা গ্রামের মিলনের স্ত্রী টুনু খাতুন।
আরও পড়ুন: ৩৮ দিনে বজ্রপাতে ৩৫ কৃষকসহ ৭৪ জনের মৃত্যু
সকাল ৯টার দিকে মাঠে কাজ করছিলেন আহমেদ মল্লিক। বজ্রপাত শুরু হলে মাঠ থেকে বাড়ি ফেরার পথে বজ্রপাতে গুরুতর আহত হন তিনি। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে রুবেল বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই মারা যান এবং টুনু খাতুন কাজ করার সময় বাড়ির উঠানে আহত হয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন।
দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর কবির ও দর্শনা থানার ওসি (তদন্ত) মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় বাড়ির পাশের মাঠে ফুটবল খেলতে গিয়ে বজ্রপাতে ১৩ বছরের এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে।
নিহত সিয়াম মুরাদনগর উপজেলার হুমায়ুন মিয়ার ছেলে।
মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রভাষ চন্দ্র ধর বলেন, ‘আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি।’