স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে যে কোস্টগার্ডের যাত্রা শুরু হয়েছিল, তা এখন সত্যিকার অর্থে গার্ডিয়ান অব সি হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।
বুধবার দুপুরে খুলনা শিপইয়ার্ড লিমিটেডে বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের জন্য নির্মিত একটি ফ্লোটিং ক্রেন, দুটি টাগ বোট, ছয়টি হাইস্পিড বোট এবং নারায়ণগঞ্জের ডিইডব্লিউ নির্মিত একটি ইনশোর প্যাট্রোল ভেসেল হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের বাণিজ্যের নব্বই শতাংশই সমুদ্র পথে সম্পন্ন হয়। এছাড়া প্রতিবেশি দেশসমূহের সঙ্গে সমুদ্রসীমা নির্ধারিত হওয়ায় বঙ্গোপসাগরে বিশাল সমুদ্র সম্পদের ভাণ্ডার আমাদের অধিকারে এসেছে। এগুলো আহরণ এবং সমুদ্রগামী জাহাজ সমূহের নিরাপত্তা বিধানে বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে বহুমুখী পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। কোস্টগার্ডের জন্য নির্মিত এসকল বোট হস্তান্তরের মাধ্যমে তাদের সক্ষমতা আরও বৃদ্ধি পাবে। তিনি আন্তর্জাতিক মানদণ্ড বজায় রেখে এসব বোট নির্মাণের জন্য খুলনা শিপইয়ার্ড লিমিটেডকে ধন্যবাদ জানান।
আরও পড়ুন: আইন মেনে দেশে ফিরেছেন হাজী সেলিম: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
খুলনা শিপইয়ার্ড লিমিটেড কর্তৃক আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নেদারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত অ্যান ভেন লিউইন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আখতার হোসেন, খুলনা নেভাল এরিয়ার কমান্ডার রিয়ার এডমিরাল এম আনোয়ার হোসেন ও বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের মহাপরিচালক রিয়ার এডমিরাল আশরাফুল হক চৌধুরী। খুলনা শিপইয়ার্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমডোর এম সামছুল আজিজ এতে সভাপতিত্ব করেন।
হস্তান্তর শেষে মন্ত্রী টাগবোট ঘুরে দেখেন এবং এর কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেন।
পরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের পরিস্থিতি কখনই শ্রীলংকার মতো হবে না। বিএনপি দিবাস্বপ্ন দেখছে, ক্ষমতায় এসে তারা আবার দেশকে পেছনের দিকে নিয়ে যাবে। কিন্তু জনগণ তাদের সঙ্গে নেই, জনগণের আস্থা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আছে। জনগণ জানে শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নাই। কারণ তিনি জনগণকে যা প্রতিশ্রুতি দেন তা বাস্তবায়ন করে দেখান।
উল্লেখ্য, টাগবোট দুটি ৩৫০০ টন অফশোর সাপোর্ট কার্যাবলি সম্পাদনে সক্ষম হবে। এছাড়া অন্যান্য বোটগুলো দ্বারা উপকূলীয় এলাকায় নিয়মিত টহল প্রদান, চোরাচালান বিরোধী অভিযান, মাদক পাচার বিরোধী অভিযান, দুর্ঘটনা পরবর্তী উদ্ধার ও অনুসন্ধান কার্যক্রম, মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ পরবর্তী উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতা পরিচালনা, পরিবেশ দূষণ প্রতিরোধ ইত্যাদি নানাবিধ কার্যক্রমসহ বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের সার্বিক অপারেশনাল সক্ষমতা বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে।
আরও পড়ুন: তেঁতুলতলা মাঠে থানা নির্মাণ করা হবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
আলোচনার পরেই তেঁতুলতলা খেলার মাঠ নিয়ে সিদ্ধান্ত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী