তিনি বলেন, ‘সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারও সাথে বৈরিতা নয়’ বলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে পথ দেখিয়ে গেছেন তা থেকে বিচ্যুত না হয়ে বাংলাদেশ একটি ‘ভারসাম্যপূর্ণ নীতি’ গ্রহণ করেছে।
তিনি ভারত, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশগুলোর নাম উল্লেখ করে সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রত্যেকের সাথে আমাদের ভালো সম্পর্ক রয়েছে।’
রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপ-কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী এবং সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
ইরান ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি এবং তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের কোনো সম্ভাবনা আছে কি না সে সম্পর্কে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আশা করি হবে না, আমি মনে করি না তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ হবে।’
ডা. মোমেন আশা করেন যে ইরাকে বাংলাদেশি নাগরিকরা নিরাপদে থাকবে।
তিনি বলেন, এ বিশ্বায়নের পৃথিবীতে শান্তি ও স্থিতিশীলতা অবশ্যই প্রয়োজনীয় এবং বিশ্বের যেকোনো অংশে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বাধাগ্রস্ত হলে সবখানে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান যে তারা ইরাকে বাংলাদেশ মিশনের সাথে যোগাযোগ রাখছেন এবং সেখানে বাংলাদেশিরা এখনো নিরাপদে আছেন।
এদিকে, বাগদাদে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবু মাকসুদ মো. ফরহাদ এক ভিডিও বার্তায় ইরাকে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকদের সব ধরনের সহযোগিতা দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন এবং তাদের উদ্বিগ্ন না হতে এবং মনোবল না হারাতে বলেছেন। সেই সাথে তিনি বলেন যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যোগাযোগ রাখছেন এবং তাদের পরিস্থিতি সম্পর্কে সর্বদা খোঁজ নিচ্ছেন।
প্রয়োজনীয় যেকোনো সহায়তা দিতে দূতাবাস সব সময় প্রস্তুত রয়েছে বলেও জানান তিনি।
গত ৩ জানুয়ারি বাগদাদ বিমানবন্দরের কাছে মার্কিন হামলায় ইরানি জেনারেল কাসেম সোলাইমানির মৃত্যুর ঘটনায় ওয়াশিংটন ও তেহরানের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধির মাঝে ইরাকে থাকা বাংলাদেশিদের উদ্দেশে এ ভিডিও বার্তা দেয়া হয়।
ধারণা করা হয় যে ইরাকে ২ লাখের অধিক বাংলাদেশি নাগরিক রয়েছেন। জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর তথ্য অনুসারে, ২০০৯ থেকে গত বছরের নভেম্বর মাসের মধ্যে ৭৫ হাজার ৭৪৮ জন বাংলাদেশি কাজের জন্য ইরাকে গেছেন।