কোভ্যাক্স সুবিধার আওতায় বাংলাদেশ মোট ১১৫ মিলিয়ন করোনার টিকা বিনামূল্যে পেয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত মোট ২৯৫ মিলিয়ন করোনার টিকা পেয়েছে। এগুলোর মধ্যে ১৮০ মিলিয়ন টিকা কেনা হয়েছে এবং বাকি টিকা আমরা কোভ্যাক্স সুবিধার আওতায় বিনামূল্যে পেয়েছি।’
রবিবার সংসদে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মুজিবুল হকের (কিশোরগঞ্জ-৩) এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে এসব তথ্য জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
ট্রেজারি বেঞ্চের সাংসদ আলী আজমের (ভোলা-২) এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, দেশের ৮০ শতাংশ মানুষকে টিকা দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের এবং পাঁচ বছরের বেশি বয়সী সকল নাগরিক করোনার টিকাদান কর্মসূচির আওতায় আনা হবে।
আরও পড়ুন: মানহীন ক্লিনিকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
তিনি জানান, ১ জুন পর্যন্ত ১২ কোটি ৮৭ লাখ ৭৩ হাজার ৪৩৬টি প্রথম ডোজ, ১১ কোটি ৭৬ লাখ ৪৫ হাজার ৩৭১টি দ্বিতীয় ডোজ এবং এক কোটি ৫২ লাখ ৮৯ হাজার ৬১০টি বুস্টার ডোজ দেয়া হয়েছে। এছাড়া ভাসমান মানুষকে দুই লাখ ৪৩ হাজার ৯১৮ ডোজ টিকা দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরীর (ভোলা-৩) প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ভেজাল, নিম্নমানের ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রির জন্য সরকার ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২১ সালের নভেম্বর পর্যন্ত ৪৬টি ওষুধ কোম্পানির উৎপাদন লাইসেন্স স্থগিত করেছে।
৪৬টি কোম্পানির মধ্যে রয়েছে-১৭টি হোমিওপ্যাথিক কোম্পানি, ১৪টি আয়ুর্বেদিক, ছয়টি ইউনানি, পাঁচটি অ্যালোপ্যাথিক ও চারটি হারবাল।
আরও পড়ুন: জুনে ৫-১২ বছরের শিশুদের টিকা: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
একই ধরনের অপরাধের জন্য ২০২১ সালে ভ্রাম্যমাণ আদালত মোট দুই ৩৬টি মামলা করেছে এবং ২৬ দশমিক ৭ মিলিয়ন টাকার বেশি জরিমানা করেছে বলেও জানান তিনি।
এছাড়া এ বিষয়ে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৯১টি এবং ওষুধ আদালতে ২১টি মামলা করা হয়েছে বলেও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।