মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মিশনপ্রধানদের কাছে লেখা একপত্রে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ নির্দেশনা দেন।
এসময় ড. মোমেন কনস্যুলার সেবার মানোন্নয়নে এবং প্রবাসী বাংলাদেশিদের সেবা প্রদানে মিশনসমূহের যেকোনো মতামত বিবেচনারও আশ্বাস দেন।
তিনি বলেন, ২৪ ঘণ্টা হটলাইন, দূতাবাস অ্যাপস, অভিযোগ বক্স স্থাপন, এয়ারপোর্টে সিসিটিভি স্থাপনের মাধ্যমে সেবার মান উন্নীতকরণ ও হয়রানি বন্ধের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। প্রবাসীদের সমস্যাগুলো মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে ত্বরিত বেগে বিবেচনা করতে হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী পত্রে আরো উল্লেখ করেন, ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটের ঘোষণা অনুযায়ী প্রবাসী বাংলাদেশিদের বৈধ চ্যানেলে প্রেরিত রেমিটেন্সের বিপরীতে ২ শতাংশ হারে নগদ সহায়তা দেয়া হচ্ছে। বাংলাদেশে দক্ষ মানবসম্পদ সৃষ্টিতে স্বাগতিক দেশ কিভাবে সহযোগিতা করতে পারে, তা পরীক্ষা করে সে অনুযায়ী সহযোগিতার ক্ষেত্র সৃষ্টি করার জন্যও নির্দেশনা দেন তিনি।
তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি হলে একদিকে যেমন বিদেশি বিনিয়োগকারীরা তার ফল উপভোগ করবে, একইসঙ্গে আমাদের দেশে কর্মসংস্থানেরও সুযোগ সৃষ্টি হবে।
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর সদয় নির্দেশনায় তার কার্যালয়ের অধীনে জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (এনএসডিএ) গঠিত হয়েছে। দক্ষ মানবসম্পদ সৃষ্টিতে এ প্রতিষ্ঠান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে বলে তিনি আশা করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী উল্লেখ করেন, দেশের উন্নয়নের গতি ধরে রাখতে দক্ষ জনশক্তি গড়ার প্রথম এবং প্রধান পদক্ষেপ শিক্ষিত, উন্নত প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এবং সামাজিকভাবে সচেতন তরুণ সমাজ গড়তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতকরণে সর্বোচ্চ গুরুত্ব আরোপ করছে। দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির অংশ হিসেবে সারাদেশে ৫ হাজার ৮০০ ডিজিটাল সেন্টার তৈরির মাধ্যমে ৬০০ ধরনের সরকারি সেবা তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে জনগণের কাছে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৯ কোটির ওপরে। বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটের মাধ্যমে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও যোগাযোগ এবং সম্প্রচার ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে বলে মন্ত্রী নির্দেশনায় উল্লেখ করেন।