বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের শক্তিশালী ব্র্যান্ডিংয়ের ক্ষেত্রে অঞ্চলভিত্তিক রোডম্যাপ তৈরি করা হবে। রবিবার (২৩ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে উত্তরণের ফলে বাংলাদেশের সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার প্রস্তুতি, পরিকল্পনা গ্রহণ, বাস্তবায়ন ও মনিটরিং সংক্রান্ত 'বিদেশে বাংলাদেশকে ব্রান্ডিং’ শীর্ষক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন একটি জাতি ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের শক্তিগুলো চিহ্নিত করার ওপর জোর দেন এবং সেগুলোকে বিদেশে প্রজেক্ট করার জন্য অংশীজনদের মধ্যে অধিকতর সমন্বয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী দেশের একটি সঠিক এবং ভবিষ্যতমুখী চিত্র তুলে ধরার জন্য একটি উন্মুক্ত, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং সত্যতা ভিত্তিক কারজক্রম গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার কথাও তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র র্যাবকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সভায় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম এবং পররাষ্ট্র সচিব ( সিনিয়র সচিব) মাসুদ বিন মোমেন উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: প্রথম মুসলিম নারী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল জজ হচ্ছেন নুসরাত
এছাড়াও সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক উন্নয়ন অঞ্চল কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন, বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন, আইসিটি বিভাগ, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ, পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ অথোরিটি ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, ঢাকা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই), ফেডারেশন অব বাংলাদেশ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি ( এফবিসিসিআই), বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমই) এর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সভার শুরুতে পররাষ্ট্র সচিব অর্থনৈতিক কূটনীতির বিভিন্ন দিক তুলে ধরে তার মন্ত্রণালয়ের সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যগুলো তুলে ধরেন ( সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও বৈচিত্র্য সৃষ্টি, রপ্তানি বৃদ্ধি ও বৈচিত্র্য বৃদ্ধি, মানসম্মত সেবা, মানব সম্পদ ও দক্ষতা রপ্তানি, প্রযুক্তি স্থানান্তর) । সভায় বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের শক্তিশালী ব্র্যান্ডিং এর ক্ষেত্রে অঞ্চল ভিত্তিক রোডম্যাপ তৈরির ব্যাপারে বিভিন্ন আলোচনা হয়। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সক্ষমতা, কোভিড পরিস্থিতিতে সাফল্য, অন্য দেশকে ঋণ দেয়ার সক্ষমতা, বাংলাদেশের সাহসী মানুষের সফলতার গল্প, পর্যটন, খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন-ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা হয়।
সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় যে, একটি কমন ব্র্যাণ্ডিং প্ল্যাটফর্ম গঠন করে তার অধীনে দেশের সকল সরকারি বেসরকারি সংস্থা নিজ নিজ ক্ষেত্র থেকে বাংলাদেশকে ব্রান্ডিং-এর কাজ করে যাবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, হেডকোয়ার্টার ও তার বিদেশস্থ মিশনসমূহ নিয়ে ন্যাশন ব্র্যাণ্ডিং এবং এ সংক্রান্ত সকল কাজে সর্বাত্মক সহযোগিতায় প্রত্যয় ব্যক্ত করে।