বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে বাজেট ঘোষণার সময় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এ বিষয়টি তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ২০২০-২১ অর্থবছরে মোট ব্যয়ের পরিমাণ ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা, যা জিডিপির ১৭.৯ শতাংশ।
পরিচালন ও অন্যান্য ব্যয়ের জন্য মোট বরাদ্দ ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৬২ হাজার ৮৫৫ কোটি টাকা এবং বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি)জন্য বরাদ্দ হয়েছে ২ লাখ ৫ হাজার ১৪৫ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন: দাম বাড়তে পারে যেসব পণ্যের
অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, ঋণদান এবং অন্যান্য ব্যয়ের জন্য দিতে হবে ৪ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা, যা মোট বরাদ্দের ০.৮৪ শতাংশ।
তিনি বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে সামাজিক অবকাঠামোগত কর্মসূচির জন্য বরাদ্দ প্রস্তাবিত ব্যয় ১ লাখ ৫৫ হাজার ৫৩ কোটি টাকা, যা মোট বরাদ্দের ২৭.৩৮ শতাংশ। এর মধ্যে মানবসম্পদ খাতের (শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও অন্যান্য সম্পর্কিত খাত) জন্য বরাদ্দ হবে ১ লাখ ৪০ হাজার ২২২ কোটি টাকা।
‘ভৌত অবকাঠামো খাতের জন্য ১ লাখ ৬৭ হাজার ১১ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রস্তাব করা হয়েছে, যা মোট বরাদ্দের ২৯.৪০ শতাংশ। এর মধ্যে সামগ্রিক কৃষি ও পল্লী উন্নয়নে ৬৯ হাজার ৫৫৩ কোটি টাকা, সামগ্রিক যোগাযোগের জন্য ৬১ হাজার ৪৩৫ কোটি টাকা এবং বিদ্যুত খাতে ২৬ হাজার ৭৫৮ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে,’ বলেন অর্থমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: যেসব পণ্যের দাম কমতে পারে
তিনি বলেন, সাধারণ পরিষেবাগুলোর জন্য ১ লাখ ৪০ হাজার ২৬৫ কোটি টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে, যা মোট বরাদ্দের ২৪.৬৯ শতাংশ।
এছাড়া, সরকারি-বেসরকারি অংশীদারি (পিপিপি) প্রকল্প, বিভিন্ন শিল্পে আর্থিক সহায়তা, বিভিন্ন ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ভর্তুকি ও ইক্যুইটি বিনিয়োগ বাবদ ৩৬ হাজার ৬১০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে, যা মোট বরাদ্দের ৬.৪৫ শতাংশ।