১০ বছর আগে বিএনপি নেতা হত্যার ঘটনায় সিরাজগঞ্জের ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা নবীদুল ইসলামসহ ২৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করে ৩৪ জনের নামে মামলা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) সিরাজগঞ্জ সদর থানা আমলি আদালতে নিহত বিএনপি নেতার বড় ভাই আব্দুল হামিদ মামলাটি করেন।
নিহত বিএনপি নেতা জবান আলী সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার সয়দাবাদ ইউনিয়নের পূর্ব বাঐতাঁরা গ্রামের মৃত আজিজল হকের ছেলে।
মামলায় সিরাজগঞ্জের সয়দাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নবীদুল ইসলাম, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল আজিজ মন্ডল, ইউপি সদস্য আব্দুল মমিন, সাবেক ইউপি সদস্য সেলিম হাজী, ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি বেলাল হোসেন ও যুবলীগ নেতা রিগেনসহ ২৯ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: গণহত্যা মামলায় আমু-কামরুল কারাগারে
আদালতের সহকারি পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) মো. নাসির উদ্দিন বলেন, মামলার বিবরণে বাদী উল্লেখ করেছেন যে মামলার বাদী ও তার ছোট ভাই জবান আলী ইউনিয়ন বিএনপির নেতা।
বাদী উল্লেখ করেছেন, আসামিরা মাঝেমধ্যেই জবান আলীর কাছে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিলেন। এর জেরে ২০১৪ সালের ১৬ জানুয়ারি জবান আলীকে অপহরণ করেন আসামিরা। তারপর থেকেই তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। বিভিন্ন স্থানে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।
এ ঘটনার ৩ দিন পর ১৯ জানুয়ারি সকালে প্রধান আসামি নবীদুল ইসলাম ফোন দিয়ে জবানকে অপহরণের করার কথা জানান। তাকে জীবিত ফিরে পেতে হলে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। এর পরদিন ২০ জানুয়ারি আসামিদের ১০ লাখ টাকা দিয়ে তার ভাইকে ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ করা হয়। কিন্তু তারা ১০ লাখ টাকা নেওয়ার পরও জবান আলীকে ছেড়ে দেননি।
পরে ৬ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টায় সিরাজগঞ্জ-কড্ডা আঞ্চলিক সড়কের কোনাগাঁতী সেতুর উত্তরে রাস্তার পাশে জবান আলীর গুলিবিদ্ধ লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ সেদিন দিবাগত রাত ৩টার দিকে লাশটি উদ্ধার করে। সে সময় তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্নও ছিল।
সদর থানা আমলি আদালতের বিচারক অতিরিক্ত চিফ চুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. বিল্লাল হোসেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) এফআইআর হিসেবে গণ্য করে মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: চিন্ময় কাণ্ডে সুচিন্তা ফাউন্ডেশন নেত্রীসহ ২৯ জনের নামে মামলা