বিএনপির শাসনামলে যে বিচারহীনতার সংস্কৃতি ছিল তার অবসান ঘটিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নবনির্বাচিত নেতারা তার সরকারি বাসভবন গণভবনে তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দকে অভিনন্দন জানান।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যার পর ঘোষিত ইনডেমনিটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে বিএনপি জোরপূর্বক গুম, হত্যা ও অনাচারের সংস্কৃতি চালু করেছিল।
বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতাকে হত্যার পর বিচার চাওয়ার ও পাওয়ার অধিকার ছিল না। ‘এটি ছিল মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। আজ আমরা ন্যায়বিচার না পাওয়ার ঘটনা থেকে দেশকে মুক্ত করতে পেরেছি। আওয়ামী লীগ সরকার সব সময় ন্যায়বিচারে বিশ্বাস করে।’
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের ন্যায়বিচার পাওয়ার ব্যবস্থা করেছে।
আরও পড়ুন: অস্থির বৈশ্বিক পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে: প্রধানমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের সরকার বিচার ব্যবস্থাকে ডিজিটালাইজড করেছে, যাতে মানুষ ভোগান্তির সম্মুখীন না হয়ে স্বল্প সময়ে ন্যায়বিচার পেতে পারে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার করোনা মহামারির সময় ভার্চুয়ালি এটা (বিচার কার্যক্রম) করেছে, যাতে মানুষ ঘরে বসে স্বল্প সময়ে ন্যায়বিচার পেতে পারে।
চলমান তাপপ্রবাহের মধ্যে বিদ্যুতের কারণে জনগণের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি।
শেখ হাসিনা বলেন, দেশে গত সাড়ে ১৪ বছর ধরে গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতার কারণে বাংলাদেশ চিত্তাকর্ষক উন্নয়ন প্রত্যক্ষ করেছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের নিবেদিতপ্রাণ প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা বাংলাদেশকে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছি।
বৈঠকে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এবং আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সিনিয়র আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করুন: প্রধানমন্ত্রী
শান্তি বিঘ্নিত করতে অশুভ শক্তি উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করছে: প্রধানমন্ত্রী