তিনি বলেন, ‘বিজয় দিবস উপলক্ষে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ইনডোর বা ঘরোয়া অনুষ্ঠান যারা করতে চান তারা করতে পারবেন। কিন্তু সেই বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে পূর্বেই জানাতে হবে, যাতে আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী তাদের পাশে থেকে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করতে পারেন।’
আরও পড়ুন: রেস্তোরাঁ বন্ধ করুন, স্কুল খুলে দিন: মার্কিন বিশেষজ্ঞ
বিজয় দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের গৃহীত জাতীয় কর্মসূচি সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নে নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে আন্তমন্ত্রণালয় ভার্চ্যুয়াল সভা শেষে মন্ত্রী এ কথা জানান।
আসাদুজ্জামান বলেন, ‘কোথায় বিজয় দিবস অনুষ্ঠান করছেন, কীভাবে করছেন, কতজনের আয়োজন, কারা কারা সেই অনুষ্ঠানে থাকবেন, সেসব বিষয় এবং অনুষ্ঠানগুলোতে যাতে নাশকতা না করতে পারে সেজন্য সারা দেশব্যাপী গোয়েন্দা কার্যক্রম ও গোয়েন্দারা তাদের মতামত দিয়েছেন। গোয়েন্দাদের মতামত মাথায় রেখে আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী কাজ করবে। সেই অনুযায়ী তারা কাজ করছেন।’
তিনি বলেন, ‘আমরা আশঙ্কা করছি মহান বিজয় দিবসে আনন্দের দিনে লোকজন বাইরে বেরিয়ে আসবেন। বেরিয়ে আসলে আমরা তাদের নিরাপত্তা দেব কিংবা স্বাস্থ্যবিধি মেনে কীভাবে চলবে সেটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় বিজয় দিবসে যেসব কর্মসূচি দিয়েছে সেগুলো যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গে পালনের জন্য সভায় বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
বিজয় দিবসে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী সঠিক মাপ ও রঙয়ের জাতীয় পতাকা সঠিকভাবে উত্তোলন করতে হবে বলে মন্ত্রী জানান।
তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি মেনে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে গমনাগমন ও পুষ্পস্তবক অর্পণকালীন যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রত্যেকবার যেভাবে নেয়া হয়, আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঠিক সেভাবেই থাকবে।’
কূটনৈতিকদের যারা স্মৃতিসৌধে যাবেন প্রতিবারের মতো তাদের জন্য যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান।
আসাদুজ্জামান বলেন, ‘স্মৃতিসৌধ এলাকায় পর্যাপ্ত সংখ্যক সিসি ক্যামেরা স্থাপনসহ নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা থাকবে। ঢাকা থেকে সাভার যাওয়ার সব রাস্তায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হবে। রাস্তাঘাটগুলো পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
আরও পড়ুন: ইউরোপে করোনার প্রথম টিকার সিদ্ধান্ত ২৯ ডিসেম্বর
করোনা পরিস্থিতি:
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ৩১ জনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৬ হাজার ৬৭৫ জনে।
মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, এক দিনে নতুন করে ২ হাজার ২৯৩ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হওয়ায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪ লাখ ৬৭ হাজার ২২৫ জনে পৌঁছেছে।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ২ হাজার ৫১৩ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৮৩ হাজার ২২৪ জনে।
গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যুর কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।