বিনা প্রয়োজনে নগরবাসীকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে না আসার আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বহিরাগতদের প্রবেশ ঠেকাতে অভিযানও পরিচালনা করেছে প্রশাসন।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন, করোনা পরবর্তী সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জনসমাগম ব্যাপক হারে বেড়েছে। এতে ক্যাম্পাসের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের চলাচল ও আড্ডায় বিধিনিষেধ আনার দাবি জানিয়েছে কয়েকটি ছাত্র সংগঠন। সরকার দলীয় ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের কর্মীদের ক্যাম্পাসকে বহিরাগত মুক্ত করতে বিভিন্ন স্থানে সক্রিয় থাকতে দেখা গেছে।
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে গত তিন দিন অভিযান চালানো হয়। এ সময় বেশ কয়েকজন মোটরসাইকেল ও প্রাইভেট কারের মালিককে জরিমানা করার কথা জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরিয়াল টিম।
ক্যাম্পাসের টিএসসি এলাকার পাশে অবস্থিত সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ফটকের সামনের ভাসমান দোকানগুলোও উচ্ছেদ করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে সেখানে কোনো ভাসমান দোকান দেখা যায়নি।
মঙ্গলবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা আগের তুলনায় বেড়েছে। এছাড়া ক্যাম্পাস আগের তুলনায় সংকীর্ণ হয়েছে। আমাদের শিক্ষার্থীরা নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবি জানিয়েছে। বিষয়টিকে আমরা গুরুত্ব দিয়ে দেখছি।
তিনি বলেন, যারা ক্যাম্পাসের না, তারা প্রয়োজনে ক্যাম্পাসে আসতে পারবেন। আমাদের অনেক সাবেক শিক্ষার্থীরাও ক্যাম্পাসে আসে। তবে বিনা প্রয়োজনে বহিরাগতদের ক্যাম্পাসে না আসাই ভালো। অতিরিক্ত জনসমাগমে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হয়। বিশ্ববিদ্যালয় তো পার্ক বা বিনোদন কেন্দ্র না। এটি মাথায় রাখতে হবে। সবাইকে দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে।
আরও পড়ুন: ঢাবির ‘চ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় পাসের হার ২.৫৬ শতাংশ
ছাত্রলীগের কর্মসূচিতে না যাওয়ায় ঢাবির দুই শিক্ষার্থীকে রাতভর নির্যাতন!
ঢাবির বর্তমান ও সাবেক ভিসিসহ চার জনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল