শান্তিতে নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিশ্বব্যাপী টিকার সমতা নিশ্চিত করার আহবান জানিয়েছেন। সম্প্রতি এক ভার্চুয়াল প্রেসব্রিফিংয়ে তিনি এ আহবান জানান।
ড. ইউনূস বলেন, মানুষকে নিরাপদে রাখতে টিকা কেন্দ্রিক মুনাফা চক্র ভেঙে ফেলতে হবে। আমরা পেটেন্ট ফ্রি টিকা নিয়ে অনেক কথা বলেছি। আমরা এ নিয়ে কাজ করছি। কারণ টিকা নিয়ে বাণিজ্য চলছে, যা মানুষের টিকা প্রাপ্তি কঠিন করে তুলছে।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছ থেকে সবার জন্য টিকা নিশ্চিত করার বিষয়ে কী প্রত্যাশা করছেন তা জানতে চাইলে তিনি জানান, বিশ্বব্যাপী টিকার সমতা নিশ্চিত করতে তাঁরা এক বছরেরও বেশি সময় ধরে কাজ করে যাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: 'অলিম্পিক লরেল' পেয়ে সম্মানিত ও অভিভূত: ড. ইউনূস
এদিকে শুক্রবার জাপানের রাজধানী টোকিওতে অলিম্পিক গেমসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সময় অধ্যাপক ইউনূস ইতিহাসের দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসাবে ‘অলিম্পিক লরেল’ অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করেন। ঢাকা থেকে ভার্চুয়ালি এই অনুষ্ঠানে অংশ নেন তিনি।
অ্যাওয়ার্ড গ্রহণের পর ড. ইউনূস বলেন, 'অলিম্পিক লরেল’ গ্রহণ করে আমি সম্মানিত ও অভিভূত। এই অ্যাওয়ার্ড পাওয়ায় প্রতিটি বাংলাদেশি গর্বিত, কারণ বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত অলিম্পিকে কোন মেডেল পায়নি। এখন সারাবিশ্বের মানুষ দেখবে যে একজন বাংলাদেশি কোন অলিম্পিক সম্মাননা পাচ্ছে। অনুষ্ঠানে সশরীরে থাকতে না পারায় তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন।
তাকে শিক্ষা, সংস্কৃতি, উন্নয়ন এবং শান্তিতে অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ এই সম্মাননা প্রদান করেছে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি(আইওসি)।
আরও পড়ুন: দেশে করোনায় মৃত্যু ১৬৬, শনাক্ত ৯,৬৩২
শুক্রবার এক ফেসবুক পোস্টে ড. ইউনূস বলেন, আইওসি খেলাধুলার সামাজিক দিকটিকে খুব গুরুত্ব সহকারে নিচ্ছে। খেলাধুলার মাধ্যমে পৃথিবীকে আরও শান্তিময় করে তোলার জন্য আইওসির প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানান তিনি। এছাড়াও তিনি ক্রিড়াবিদদের জন্য শুভকামনা জানান।
এর আগে রিও ডি জেনেরিওতে ২০১৬ সালে অলিম্পিক লরেল পদকটি দেয়া হয়েছিল কেনিয়ার সাবেক অলিম্পিয়ান ও সমাজ পরিবর্তনকারী কিপ কেইনোকে। ঐ বছরই এই অ্যাওয়ার্ডের প্রবর্তন করা হয়।
আরও পড়ুন: ১৮ হলেই টিকা নেয়া যাবে, শিগগিরই বাস্তবায়ন