‘আমি সবসময় আশাবাদী। এই আশাবাদের ওপর ভিত্তি করে আমরা আস্থা ও পারস্পরিক বিশ্বাসের মনোভাব গড়ে তুলেছি,’ উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন- শুধু তিস্তা নয়, অন্যান্য অভিন্ন নদীর পানি-বণ্টনও ধীরে ধীরে সমাধান হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারত থেকে ফিরে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এসব কথা বলেন।
এর আগে শুক্রবার সব অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন এবং দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে থাকা তিস্তার পানি-বণ্টন চুক্তি সমাধান করতে ভারতকে পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানায় বাংলাদেশ।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন নয়াদিল্লির জওহরলাল নেহেরু ভবনে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার যৌথ পরামর্শক কমিশনের (জেসিসি) পঞ্চম বৈঠকে বিষয়টি উত্থাপন করেন।
জবাবে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ আশ্বাস দেন যে তারা তিস্তা পানি বণ্টন চুক্তি দ্রুত সমাধান করতে কাজ করবেন। নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন এ তথ্য জানায়।
জেসিসি বৈঠকে সহ-সভাপতিত্ব করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন এবং ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ।
নিজের ভারত সফরকে সফল আখ্যায়িত করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মন্ত্রী হিসেবে তার প্রথমে ভারত সফরের সিদ্ধান্ত সে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ সবাই খুব প্রশংসা করেছেন।
এক প্রশ্নের জবাবে ড. মোমেন বলেন, বাংলাদেশের বৈদেশিক নীতিতে অগ্রাধিকারের বিষয় হিসেবে উঠে আসা অর্থনৈতিক কূটনীতি নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি তিনি রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন রোডম্যাপ বাস্তবায়নে ভারতের সমর্থন চেয়েছেন। ‘সবার কাছ থেকে আমাদের অংশীদারিত্ব ও সহযোগিতা প্রয়োজন।’
আরেক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভারত কোনো রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে পাঠাবে না, তাদের নিজেদের দেশ মিয়ানমারে পাঠাবে। ‘কেউ যদি রোহিঙ্গা হন এবং বাংলাদেশের নাগরিক না হন তাহলে ভারত সরকার তাদের বাংলাদেশে পাঠাবে না। তাদের নিজ দেশে পাঠানো হবে, বাংলাদেশে নয়।’