প্রস্তাবিত আইনে সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান রেখে মন্ত্রিসভা ‘খাদ্য পণ্যের উৎপাদন, সঞ্চয়, স্থানান্তর, পরিবহন, সরবরাহ, বিতরণ ও বিপণন (প্রিভেনশন অব প্রিজুডিশিয়াল অ্যাক্টিভিটি) আইন, ২০২৩’-এর খসড়া অনুমোদন করেছে।
সোমবার রাজধানীর সংসদ ভবনের মন্ত্রিপরিষদ কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন বাংলাদেশ সচিবালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
খসড়া আইনে প্রধানত ধান, চাল, গম, আটা ও ভুট্টার মতো খাদ্যশস্য উৎপাদন, সঞ্চয়, স্থানান্তর, পরিবহন, সরবরাহ, বিপণন ও বিতরণ সংক্রান্ত অপরাধ চিহ্নিত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী সেসব অপরাধের জন্য শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, নতুন আইনটি দুটি পুরানো আইনের সংমিশ্রণে তৈরি করা হয়েছে- খাদ্য (বিশেষ আদালত) আইন, ১৯৫৬ এবং খাদ্যশস্য সরবরাহ (প্রিভেনশন অব প্রিজুডিশিয়াল অ্যাক্টিভিটি) অধ্যাদেশ, ১৯৭৯।’
মানসম্পন্ন দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য উৎপাদনের জন্য বাংলাদেশ ডেইরি ডেভেলপমেন্ট বোর্ড আইন, ২০২৩-এর খসড়াও অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, খসড়া আইন অনুযায়ী, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি বোর্ড থাকবে, যার চেয়ারম্যান থাকবেন এবং ১৯ সদস্যের একটি গভর্নিং বডি বোর্ড পরিচালনা করবে।
তিনি বলেন, বোর্ডের প্রধান কাজ হবে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি, চিকিৎসা সেবা এবং মানসম্পন্ন দুধের উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের মাধ্যমে গৃহপালিত পশু পালনে পরামর্শ ও প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান করা।