স্থলবন্দর ও বিমানবন্দরের মাধ্যমে বাংলাদেশে আসা মাঙ্কিপক্স আক্রান্ত ব্যক্তিদের নজরদারি ও স্ক্রিনিং জোরদার করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে সরকার।
রবিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজিএইচএস) এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মাঙ্কিপক্স নতুন কোনো রোগ নয়। অতীতে পশ্চিম ও মধ্য আফ্রিকার দেশগুলোর মানুষের মধ্যে এটি পাওয়া যেত। সম্প্রতি আফ্রিকান দেশগুলোতে ভ্রমণ না করেও ইউরোপীয় এবং আমেরিকান দেশগুলোতে মানুয়ের মধ্যেএটি শনাক্ত করা হয়েছে।
যারা ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন বা সংক্রামিত মানুষের কাছাকাছি এসেছেন তাদের মাঙ্কিপক্সের সন্দেহভাজন রোগী হিসেবে তালিকাভুক্ত করা উচিত।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, সন্দেহভাজন রোগী বা উপসর্গযুক্ত রোগীদের সরকারি হাসপাতাল বা সংক্রামক রোগ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া উচিত এবং বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রাখা উচিত।
আরও পড়ুন: এবার আমেরিকায় শনাক্ত ‘মাঙ্কিপক্স’
মাঙ্কিপক্স কি?
মাঙ্কিপক্স একটি ভাইরাস যা ইঁদুর ও বন্য প্রাণীর মধ্যে সংক্রমিত হয়। তবে মাঝে মাঝে মানুষের মধ্যেও হয়ে থাকে। মধ্য ও পশ্চিম আফ্রিকায় এটি সাধারণত বেশি দেখা যায়।
১৯৫৮ সালে বিজ্ঞানীরা এই রোগটি প্রথম শনাক্ত করেছিলেন। তবে ১৯৭০ সালে কঙ্গোর প্রত্যন্ত অঞ্চলে ৯ বছর বয়সী এক ছেলের মধ্যে এটি প্রথম শনাক্ত হয়।
মাঙ্কিপক্সের বেশিরভাগ রোগীই জ্বর, শরীরে ব্যথা, ঠাণ্ডা ও ক্লান্তি অনুভব করেন। আরও গুরুতর অসুস্থ ব্যক্তিদের মুখে এবং হাতে ফুসকুড়ি এবং ক্ষত হতে পারে যা শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
প্রায় দুই থেকে চার সপ্তাহের মধ্যে এই রোগ থেকে পুনরুদ্ধার করা সম্ভব।
মাঙ্কিপক্স ১০ জনের মধ্যে একজনের জন্য মারাত্মক হতে পারে এবং শিশুদের মধ্যে এটি আরও গুরুতর বলে মনে করা হয়।